ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৩ জুন ২০১৭

খালেদার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়া এদিন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন। সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদের জেরা বৃহস্পতিবারও শেষ না হওয়ায় ফের তাকে জেরা করার দিন ধার্য করে আদালত। অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষের সমর্থনের জন্যও একই দিন ধার্য করে আদালত। ১৫ জুন জিয়া চ্যারিটেবল টাস্ট্র দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশীদকে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী রেজ্জাক খান। জেরার একপর্যায় তিনি তদন্ত কর্মকর্তকে বলেন, আপনি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মামলার তদন্ত করেছেন। ওই দিন আদালত এ মামলার পরবর্তী জেরার জন্য ২২ জুন দিন ধার্য করে। এদিকে আসামি পক্ষের অন্যতম আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় অংশ নেয়া মূল আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ‘চিকনগুনিয়া’ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সময় চাওয়া হয়। “তবে সময়ের আবেদন জমা দিলেও দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় জেরা হিসাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একটি প্রশ্ন করার জন্য আসামি পক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক।” গত ৮ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার অনুমতি দেয় আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
×