ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

জাদুঘরে হাতের লেখা কোরান শরীফের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৩ জুন ২০১৭

জাদুঘরে হাতের লেখা কোরান শরীফের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের প্রাণকেন্দ্র শাহবাগকে ঘিরে পরিচালিত হয় নানামুখী কর্মপ্রবাহ। শিল্প-সাহিত্য চর্চা থেকে শুরু করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তীর্থভূমিতে পরিণত হওয়া এলাকাটিতেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাতীয় জাদুঘর। আর জাদুঘর মানেই শুধু ঐতিহাসিক জড় বস্তুর সমাহার নয়, এটি জীবন্ত ইতিহাসের আকর। অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে এবং বর্তমানের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করে। সেই তথ্যেরই প্রমাণ মেলে জাদুঘরে চলমান হাতের লেখা কোরান শরিফ প্রদর্শনীতে। অতীতের সোনালী সময় এসে ভর করেছে বর্তমানের আলোয়। তাই ফিরে দেখা অতীতকে বর্তমানের সঙ্গে মিলিয়ে দর্শনার্থীদের অনেকেই কৌতূহল নিয়ে দেখছিলেন বহু বছরের পুরনো হাতে লেখা কোরান শরীফটি। জাদুঘরের প্রবেশপথের লবিতে একটি কাঁচঘেরা বাক্সে রেহেলের ওপর রাখা হয়েছে প্রাচীন সময় ও ইতিহাসের সাক্ষ্যবহ ধর্মগ্রন্থটি। প্রতিবছর নানা ধরনের প্রতœনিদর্শন ও দুর্লভ সামগ্রী সংগ্রহ করে জাতীয় জাদুঘর। সম্প্রতি জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করে হজরত ওসমান (রা.) সময়ের হাতে লেখা একটি দুর্লভ কোরান শরিফ। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা) এর শাসনামলের সময়ে হাতে লিখে প্রস্তুত করা হয়েছিল এ কোরান শরিফ। গত মে মাসে সংগৃহীত কোরান শরিফটির প্রদর্শিত হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য। খবর নিয়ে জানা যায়, বিশ্বে এ ধরনের কোরানের মাত্র ৫টি কপি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোরান শরিফটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন এক দর্শনার্থী। ওই দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধির। সামেরা জামেল নামে রাজধানীর শান্তিনগরের এই বাসিন্দা জানান, মূলত এখানে এসেছিলাম জামদানি মেলায়। আর প্রবেশপথেই নজর কেড়ে নিল এই কোরান শরিফটি। এর আগে আমার হাতের লেখা কোরান শরিফ দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আরবি হরফের চমৎকার হাতের লেখা ধর্মগ্রন্থটি দেখে মুগ্ধ হলাম। এটি দেখে মনে হলো যেন আমি চলে গিয়েছি পুরনো অতীতে। সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই গ্রন্থটিতে জড়িয়ে আছে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা)-এর শাসনামলের স্মৃতিচিহ্ন। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন রাশিয়ার তাসখন্দ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল এ কোরান শরিফ। দীর্ঘদিন তা সংরক্ষিত ছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনে। পরে তা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় জাতীয় জাদুঘরকে। কোরানটির দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি। প্রস্থ ১ ফুট। উচ্চতা ৩ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে ৭ কেজি। গোটা গোটা হরফে লেখা কোরান শরিফটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৭২। মাসব্যাপী এই হাতের লেখা কোরান শরিফ প্রদর্শনী শেষ হবে কাল শনিবার। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ভারতীয় হাই কমিশনে কত্থক নৃত্যের কর্মশালা শাস্ত্রীয় আঙ্গিকের অনন্য এক নৃত্যধারা কত্থক। এই নৃত্যধারার প্রতি অনুরাগীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ঢাকা ভারতীয় হাইকমিশন। প্রশিক্ষণ দেবেন দেশের খ্যাতিমান কত্থক নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু মুনমুন আহমেদ । আগামী পয়লা জুলাই থেকে বারিধারার ভারতীয় হাই কমিশনে শুরু হচ্ছে কত্থক নৃত্যের ক্লাস। প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা এবং ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দুটি ব্যাচে ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ছয় মাস মেয়াদী কর্মশালাটি সম্পন্ন হবার পর সফল অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতার ভিত্তিতে পারদর্শিতা সনদ প্রদান করা হবে।
×