ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরসূরির নাম ঘোষণা নিয়ে তড়িঘড়ি করেছেন সালমান ॥ বিশ্লেষকদের ধারণা

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৩ জুন ২০১৭

উত্তরসূরির নাম ঘোষণা নিয়ে তড়িঘড়ি করেছেন সালমান ॥ বিশ্লেষকদের ধারণা

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের রাস্তায়, বিপণি বিতান ও গণপরিসরে দেশটির ধর্মীয় পুলিশের উপস্থিতি ছিল আতঙ্কজনক। ইচ্ছা হলেই তারা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাতেন। এ অবস্থায় খুব কম লোক তাদের কর্তৃত্ব চ্যালেজ্ঞ জানাতে পারতেন। পুলিশ ইসলামের নামে অতি গোঁড়া ধর্মীয় মতবাদ সমাজের ওপর চাপিয়ে দিত। লোকজনের মধ্যে যারা সবসময়ে বলপ্রয়োগের আতঙ্ক নিয়ে দিন যাপন করতেন, তারা চলতি বছরের শীতের এক শেষবিকেলে এক ধরনের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি দেখতে পেলেন। তাহল, শহরতলীর কোন একটি প্রধান কার্যালয় ভবনের এক পাশে সংস্কার কর্মসূচীর দশ মিটার দীর্ঘ ব্যানার। সংস্কারের উদ্দেশ্যে রূপকল্প-২০৩০ নামে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। ভবনের ভিতরে এমন কেউ নেই যে এ কর্মসূচীতে বিঘœ ঘটাতে পারেন। গার্ডিয়ান। বিশ্লেষকদের ধারণা, উত্তরসূরির নাম অনেক আগে দিয়ে ফেলেছেন বাদশাহ সালমান। রিয়াদের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওই ব্যানারে সরকার বলেছে, আমরা তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। ধর্মীয় পুলিশ এখন কোন ব্যাপার না। বছরখানেক আগেই তাদের হাত থেকে গ্রেফতারের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা তাদের কর্তৃত্ব হারিয়েছে।’ যখন সরকারের অন্যতম একটি প্রভাবশালী খুঁটিকে কর্তৃত্বহীন করে দেয়া হয়েছে, তখন দেশটিতে একজন নতুন উচ্চাকাক্সক্ষী মুখ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রভাব দিনে দিনে প্রবলতর হচ্ছে। যেটা আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাসের সঙ্গে একেবারে যায় না। ভাইপোকে সরিয়ে সৌদি বাদশাহ বুধবার সিংহাসনের নতুন উত্তরসূরী হিসেবে তার ৩১ বছরের ছেলে সালমানকে বসিয়েছেন। সৌদি মসনদে নিজের অবস্থান ও প্রভাব সুসংহত করেছেন তিনি। পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে দেয়া হয়েছে লাগামহীন ক্ষমতা। ভয়ানক সব ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছেন নতুন এই উত্তরসূরী। তাকে দেশটির রুগ্ন অর্থনীতি সংস্কার ও একটি রক্ষণশীল সমাজকে মুক্ত করে দিতে হবে। নতুন ও শক্তিশালী উপায়ে দেশটির প্রভাব বাড়াতে হবে। নতুন এ উদ্যোগ ঘোষণার মাধ্যমে বাদশাহ সৌদি আরবকে আক্ষরিক অর্থে পৃথিবীর ক্ষমতাধর ত্রিশটি দেশের কাতারে রেখেছেন। নতুন উত্তরসূরীর আগের দায়িত্বের সঙ্গে আরও কিছু ভূমিকা যুক্ত হয়েছে। এটা এজন্য করা হয়েছে যাতে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার থেকে বিচ্যুত হয়ে না পড়ে। যেমন, পনেরো বছর মেয়াদী সংস্কার কর্মসূচী।
×