ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টয়ার ‘এ্যাডমিশন টেস্ট’

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ২২ জুন ২০১৭

টয়ার ‘এ্যাডমিশন টেস্ট’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনয়ের স্বার্থে একজন জাত অভিনেত্রীকে কত কিছুই না করতে হয়। ছোটপর্দার উঠতি অভিনেত্রী টয়াকে সম্প্রতি তেমনই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যেতে হলো। গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে! সম্প্রতি যেখানে তিনি টানা তিন দিন কাটিয়েছেন, সেখানকারই অন্যতম একজন হয়ে। অবশ্যই সেটি বিশেষ একটি কাজের স্বার্থে। আর সেটি হলো আসছে ঈদের বিশেষ ওয়েব সিরিজ ‘এ্যাডমিশন টেস্ট’। তপু খানের রচনা ও পরিচালনায় এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ হলো সিএমভির ব্যানারে মোশনরকের কারিগরি সহযোগিতায়। ‘এ্যাডমিশন টেস্ট’ নামের এই ওয়েব সিরিজে টয়া ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান, তামিম মৃধা ও জাকি। সিরিজের গল্পে দেখা যাবে, তিন যুবক ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য রওনা হন। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছে বাস ধর্ঘঘটে আটকে যান। পরে সেখানের এক হোটেলে অবস্থান শুরু করেন। যেহেতু পাশেই যৌনপল্লী সেহেতু অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য তারা যান সেখানে। সেখানেই তিন বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় ঘটে টয়ার। একের পর এক ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। নির্মাতা তপু খান জানান, ওয়েব সিরিজটি ঈদের দিন থেকে টানা সাত দিনে সাত পর্ব মুক্তি পাবে যৌথভাবে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেল ও রবিস্ক্রিনে, প্রতিদিন রাত ৯ টায়। এই ওয়েব সিরজে টয়াকে দেখা যাবে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর জনপ্রিয় (ডিমান্ডিং) একজনের চরিত্রে। চিত্রনাট্যের দাবিতে যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়াও এতে টয়া সেখানকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষের সামনে রাতভর নেচেছেন। যেটাকে তিনি তার অভিনয় জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বলে অভিহিত করছেন। তার ভাষায়, আমার চরিত্রটি হলো সেই ব্রোথেলের অনেক ডিমান্ডিং একজন যৌনকর্মীর চরিত্র। ফলে প্রথম দিন চরিত্রটি নিয়ে কাজ করতে বেশ বিব্রত লাগছিল। মানে তাদের এক্সপ্রেশন রপ্ত করা বেশ কঠিন ছিল আমার জন্য। তবে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হলো সেই এলাকার শত শত মানুষের সামনে রাতভর নাচতে গিয়ে। নাচ প্রসঙ্গে টয়া আরও বলেন, সেদিন রাতে দৌলতদিয়ার অসংখ্য মানুষের সামনে একটু খোলামেলা পোশাকে অমন আইটেমে নাচতে গিয়ে জীবনটাকে নতুন করে দেখেছি। সেখানে যারা আমার নাচ দেখেছেন তাদের বেশিরভাগই মনে করেছেন আমি সত্যি সত্যি সেই ব্রোথেলেরই একজন! তাই নাচের ফাঁকে দর্শকদের নানা বাজে কমেন্টও আমাকে শুনতে হয়েছে। সত্যি এটা আমার জীবনের লাইফটাইম এবং ভয়ঙ্কর এক্সপেরিয়েন্স।
×