ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুর্গাপুরে খাওয়ার অনুপযোগী ভিজিএফের গম

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২২ জুন ২০১৭

দুর্গাপুরে খাওয়ার অনুপযোগী ভিজিএফের গম

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দুর্গাপুরে ভিজিএফ কার্ডধারীদের পোকায় খাওয়া নিম্নমানের গম সরবরাহ করা হচ্ছে। গম অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ, গম অত্যন্ত নিম্নমানের এবং খাওয়ার অনুপযোগী। এ গম বিতরণ করতে গেলে জনগণের তোপের মুখে পড়তে হবে। বুধবার দুপুরের উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে গম বিভিন্ন ইউনিয়নে পাঠানো হচ্ছিল। তবে ট্রাক থেকে গম আনলোড করার সময় নিম্নমানের পরিলক্ষিত হওয়ায় তা আনলোড বন্ধ করে দেন চেয়ারম্যানরা। নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম গম হাতে নিয়ে সাংবাদিকদের দেখান। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন ও খাদ্যগুদাম ইনচার্জ বজলুর রহমান। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে সমঝোতা হওয়ার পর অবশেষে সেই নিম্নমানের ওই গম গ্রহণ করেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। বৃহস্পতিবার থেকে সেগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ঈদ-উল-ফিতরের আগেই মোট ১১ হাজার ৪২৭ ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে গম বিতরণের কথা রয়েছে। নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে যে গম সরবরাহ করা হচ্ছে তা ধুলায় ভরা ও পোকায় খাওয়া। এ গম কেবল গবাদিপশুর জন্য প্রযোজ্য, মানুষের জন্য নয়। এ গম বিতরণ করতে গেলে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়তে হবে। গলাচিপা স্টাফ রিপোর্টার গলাচিপা থেকে জানান, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে গরিব দুস্থদের দুই মাসের ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) চাল বিতরণে পরিবহন খরচের অজুহাতে টাকা আদায় এবং চাল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোম ও মঙ্গলবার দুইদিনে ওই ইউনিয়নের তুলাতুলি লঞ্চঘাট এলাকায় এ চাল বিতরণ করা হয়। জানা গেছে, গত মে ও জুন দুই মাসে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৩৪৮ উপকারভোগীর অনুকূলে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে ৬০ কেজি করে মোট ২০ হাজার ৮৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, চাল বিতরণের সময় পরিবহন খরচের অজুহাতে উপকারভোগী প্রত্যেকের কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রিয়াজ উদ্দিন ১০০ টাকা করে আদায় করেন। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষে চরহালিম ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন উপস্থিতি থেকে প্রত্যেক উপকারভোগীকে ৩-৫ কেজি চাল কম দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। চরগঙ্গা গ্রামের উপকারভোগী রুমা বেগম ও মনজিলা বেগম বলেন, গুদামের তোন চাউল ট্রলারে আনতে খরচ অইছে হেই লইগ্যা ১০০ টাহা নেছে সচিব।
×