ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জর্জিয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২২ জুন ২০১৭

জর্জিয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়

মার্কিন অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশেষ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জন অসফকে হারিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী কারেন হ্যান্ডেল জয়ী হয়েছেন। কারেনের এ জয় রিপাবলিকান দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আসনটি প্রায় চার দশক ধরে রিপাবলিকানদের দখলে ছিল। এটি ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয় বহুল কংগ্রেস নির্বাচন। নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি। কংগ্রেস সদস্য টম প্রাইস ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ায় আসনটি শূন্য হয়। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চার মাস হলো। এ সময়ের মধ্যে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিল জর্জিয়ার এ বিশেষ নির্বাচনে জিততে পারলে আগামী বছর মধ্যবর্তী নির্বাচনে তারা একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে প্রচারাভিযান শুরু করতে পারত। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। ৫৫ বছর বয়সী কারেনের কাছে হেরে গেছেন ৩০ বছর বয়সী অসফ। অসফ রাজনীতিতে নবাগত। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে আড়াই কোটি ডলারের বিশাল হতবিল সংগ্রহ করেন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলই আসনটি দখলের জন্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। মোট অর্থের হিসেবে এ আসনে দুই দলের ব্যয়ের পরিমাণ ৪ কোটি ছাড়িয়ে যায়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে অসফই এগিয়ে, তিনি একাই আড়াই কোটি ডলার চাঁদা তুলেছেন, যার মধ্যে দেড় কোটি ডলার এসেছে গত দুই মাসে। ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প জনসমর্থন হারাচ্ছেন, তাই নির্বাচনের মাঠে তারা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে। নির্বাচনের ফল আসার পর ট্রাম্প টুইটে লেখেন, ‘এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দলের জন্য বিশাল জয়। জর্জিয়ায় কংগ্রেসের বিশেষ নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচনে যারা হেরেছে তাদের সব অর্থ বৃথা গেছে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সময় আসনটি শেষবারের মতো ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল। প্রথম দফা নির্বাচনে অসফ এগিয়ে থাকলেও তিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। যে কারণে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ করতে হয়। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেছেন কারেনের জয়কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এতে প্রমাণিত হয় অবস্থা অনুকূলে না থাকলেও একজন রিপাবলিকান প্রার্থী জিততে পারেন। ডেমোক্র্যাটরা অনেক অর্থ ব্যয় করেও হেরে গেছে।’ নির্বাচনে জয়লাভের পর কারেন ট্রাম্পকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রচারাভিযানকালে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখেন। তিনি বলতে গেলে ট্রাম্পের নামটিও উচ্চারণ করেননি বা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে তিনি একমত কি না সে বিষয়ও কিছু বলেননি। অসফের পরাজয় স্বাভাবিকভাবেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের হারের মতোই দেখা হচ্ছে এ পরাজয়কে। ওই নির্বাচনের পর যেমন এবারও তেমনি আত্ম সমীক্ষার মুখোমুখি হলো।
×