ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২২ জুন ২০১৭

সীমাহীন দুর্ভোগ

শেকড়ের টানে ছুটছে মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু হয়েছে। কেউ বা পরিবার-পরিজনের বিশাল বহর নিয়ে, কেউ বা একাকী। ভাঙাচোরা সড়কে পদে পদে ভোগান্তি, যানজট, পরিবহন সঙ্কট ও বাড়তি ভাড়াসহ পথের নানা ভোগান্তি তুচ্ছ করে ছুটছে সবাই। দেশের প্রতিটি দৈনিকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের নানা বিড়ম্বনার খবরটি এখন অন্যতম প্রধান খবর হিসেবে স্থান পাচ্ছে। ঈদের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তাই আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চাইছে না কেউই। তাই কয়েক দিন ধরেই কাকডাকা ভোর থেকেই নগরীর সড়কগুলো হয়ে উঠছে কোলাহল মুখর। বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে নামছে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। ছুটছে গাড়ি, ছুটছে মানুষ। কিন্তু কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিড়ম্বনা-ভোগান্তি। রাজধানীতে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ। সঙ্গে দমকা হাওয়া। মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, বৃষ্টির মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ট্রেনযাত্রায়ও দুর্ভোগে ঘরে ফেরা মানুষ। এত কিছুর পরও বাড়ি পৌঁছানোই এখন শেষ কথা। কারণ ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে আপনজনের সাথে। আপন গন্তব্যে ফিরতে এ এক রীতিমতো যুদ্ধ। আর এমন ভোগান্তি যেন নিয়তি, প্রতি বছর ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের। ভেতরে নেই তিল ধারণের ঠাঁই; তাই ট্রেনের ছাদে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাই ভরসা অনেকের। প্রতিবছরের মতো এবারও সড়কপথে, রেলপথে এবং নদীপথে মানুষ যাবে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে। নির্মম হলেও সত্য যে ঈদের সময় সড়কপথে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ঈদের সময়ই। ঈদের সময় অতিরিক্ত বাস চলে মহাসড়কে। এ জন্য দায়ী কিছু চালক। তারা বেপরোয়া ভাবে যানবাহন চালানোর সময় মোবাইল ফোনে অযথা কথা বলে। চালকের পরিবর্তে হেলপার হয়ে যায় চালক, রং সাইড দিয়ে ওভারটেকিং, কার আগে কে যাবে, এ নিয়ে চলে জোর প্রতিযোগিতা। রাস্তা নির্মাণে ত্রুটির কারণেও সড়ক পথে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়া নদীপথে, লঞ্চে ঠাসাঠাসি করে উঠানো হয় যাত্রী, যে কারণে নৌ দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেশি ঈদের সময়। অনেক মহাসড়কে ঈদের আগে হাটবাজারও বসে। ঈদের আগে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি যেন চিরস্থায়ী হয়ে বসেছে। বছরের পর বছর যাত্রীসেবার বেহাল দশা। এত ঝক্কি-ঝামেলা বিড়ম্বনার মধ্যেও প্রকৃত আনন্দ নিয়ে প্রতিটি ঘরে ঈদ আসুক। নির্বিঘœ ও নিরাপদ হোক ঈদ উদযাপন। মুলাদী, বরিশাল থেকে
×