ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা

প্রকাশিত: ০১:০৩, ২১ জুন ২০১৭

খাগড়াছড়িতে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ির সার্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাংগন। এ ছাড়া দূর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যটক না আসায় জেলায় দেখা দিয়েছে অথনৈতিক বিপযয়। এতে করে জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে খাগড়াছড়িতে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রিতরা নিজ নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়েছে ।দেখা গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ী ভেংগে গেছে। হাঁস-মুরগি, গবাদি পুশু ও পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। নষ্ট হয়েছে সবজির ক্ষেত। ফলে বেঁচে থাকার জন্য তাদের কে নতুন করে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্তদের জন্য স্থানীয় সংসদ সদষ্যের পক্ষ থেকে যে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে তা অপ্রতুল ।স্থানীয প্রশাসন এখন পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করতে পারেনি। পাহাড় ধ্বসে নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর খাগড়াছড়িতে আকস্মিক বন্যার কারনে খাগড়াছড়ি এখন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে।খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যান মিত্র বড়–য়া জানান গত ১০/১৫ দিন ধরে খাগড়াছড়িরা আবাসিক হোটেল গুলোতে কোন বর্ডার নেই। পাহাড় ধ্বস ও পাহাড়ী ঢরের আতংকে যে সমস্ত পর্যটক সাজেক যেত তারা আসছে না । তিনি আশা প্রকাশ করেন ঈদের বন্ধে তা কেটে যাবে। এ ছাড়া সিএনজি, মাইক্রোবাস, মহেন্দ মালিক ও শ্রমিকদের বক্তব্যেও একই। অপর দিকে পাহাড়ী ঢলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নদী তীর বর্তী এলাকা সমূহে ভাংগন দেখা দিয়েছে। পৌর শহরের চেংগী নদী তীর বর্তী শান্তি নগর, শব্দমিয়া পাড়া, বাঙ্গালকাঠি, গঞ্জপাড়া,ও আপার পেড়াছড়া এলাকায় নদীর ভাংগনে বেশ কিছু ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ ছাড়া নদী তীর বর্তী বসতবাড়ী গুলো হুমকীর মূখে পড়েছে । সব কিছু মিলে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধ্বস ও বন্যা ও নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে খাগড়াছড়িতে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।
×