ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রোটিনের গান

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২১ জুন ২০১৭

প্রোটিনের গান

সা...রে...গা...মা...পা... গাইতে পারে প্রোটিনও! রং-বেরঙের তালে, ছন্দে, সুরে। রামধনুর নানা রঙের নানা রাগে, অনুরাগে। ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ তার অন্তরে-অন্দরে লুকিয়ে রয়েছে, গানে গানেই তার ছবি এঁকে দিতে পারে প্রোটিন। দোলা দিতে পারে আমাদের। নাচের তালে তালে, মুদ্রার বৈচিত্র্যে, শরীরী বিভঙ্গের তারতম্যে যেমন কুচিপুড়ি কোথাও কোথাও আলাদা হয়ে যায় ভরতনাট্যম থেকে। রাগের ‘বসন্ত’ অন্য পথ ধরে ‘খাম্বাজ’-এর সঙ্গে তার বনিবনা হয় না বলে, প্রোটিনও তেমনই রামধনুর নানা রঙের নানা তালে নানা ছন্দে, সুরে, রাগে বুঝিয়ে দিতে পারে তার চেহারাটা কেমন, ভারি না হালকা, নিজেকে সে কিভাবে সাজিয়েছে, তার অঙ্গসজ্জার ধরন-ধারণ। প্রোটিনের গান গাওয়ার সেই চমকে দেয়া গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘হেলিয়ন’-এ। যার শিরোনাম- ‘মেলোডি ডিসক্রিমিনেশন এ্যান্ড প্রোটিন ফোল্ড ক্লাসিফিকেশন’। মূল গবেষক ব্রিটেনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের বায়োইনফর্মেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট বাইওয়াটার ও আমেরিকার ইস্টার্ন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ মিউজিক কম্পোজার জোনাথন মিডলটন। নানা প্রোটিনের নানা রঙের সুর, তাল, ছন্দ, রাগের পরতে পরতে জড়ানো গানের সেতু ধরে অনেক জটিল অসুখের নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কারের কাজটাও, এর ফলে কিছুটা সহজ হয়ে গেল বলে প্রোটিন গবেষকদের অনেকেই মনে করছেন। তাই প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গবেষণাপত্রটি। -আনন্দবাজার পত্রিকা
×