ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে তা সরকারের সিদ্ধান্ত ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২১ জুন ২০১৭

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে তা সরকারের সিদ্ধান্ত ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ থাকলে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে তা সরকারের সিদ্ধান্ত। ইসির কাজ হলো আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করা। দেশে অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। সব দল অংশ নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় উল্লেখ করেন তিনি। মঙ্গলবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের জাতি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনডিপির ঢাকা অফিসের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে এটা দাতাদের বিষয় নয়। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন উল্লেখ করেন। ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনসের নেতৃত্বে প্রায় দেড় ডজন দেশের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। ইসির পক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সচিব এবং দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইইউ, জার্মানি, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের পর নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনকানুন সংস্কার সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের মতো কাজগুলো সামনে রয়েছে। দাতার কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আছে কি না, বৈঠকে জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। সব দল অংশ নিলে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা দাতাদের কাছ থেকে কারিগরি সহযোগিতা চাই। নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসি কার কী দায়িত্ব তা নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা চাই। তবে এগুলো ছাড়াই স্মার্টকার্ড দেয়া সম্ভব। তাই আমরা প্রকল্পটা আরও বাড়াতে চাই। যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সম্পর্ক নেই। তবু আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই। তিনি জানান, দাতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে এ বিষয়ে দাতারা জানতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি, এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। এদিকে হেড অব ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করতে চাই। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, এটা আমাদের বিষয় নয়। এটা সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
×