ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিজ্ঞপ্তি পৃষ্ঠা ৩, ১২, ১৩

৩৮তম বিসিএসে ২০২৪ পদে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২১ জুন ২০১৭

৩৮তম বিসিএসে ২০২৪ পদে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ২৪টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। ৩৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছর তিন মাস ২২ দিন পর মঙ্গলবার ৩৮তম বিসিএসের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো। তবে এই সময়ে পিএসসি নিয়োগ দিয়েছে রেকর্ড সংখ্যক ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কর্মকর্তা। পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে আরও কয়েক হাজার দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা। এদিকে নতুন বিসিএস থেকেই কার্যকর করা হচ্ছে বেশকিছু নতুন বিষয়। কমিশনের ওয়েবসাইটে (িি.িনঢ়ংপ.মড়া.নফ) এই বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাচ্ছে। এবারের বিসিএসেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী ভার্সনের প্রশ্ন থাকবে, উত্তর ও লেখার সুযোগ থাকবে যে কোন একটি ভাষায়। মঙ্গলবার সকালে বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ নতুন বিষয়গুলো কার্যকর করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে কমিশনের সভায়। ২৪টি ক্যাডারে দুই হাজার ২৪টি শূন্য পদ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের পছন্দমতো উত্তর করতে পারে সে জন্য বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমে প্রশ্ন করা হবে। যারা ইংরেজীতে উত্তর দেবেন তাদের আবেদনের সময় তা উল্লেখ করতে হবে। এবার দুইজন পরীক্ষক দিয়ে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুই পরীক্ষকের মধ্যে ২০ শতাংশ নম্বরের পার্থক্য হলে তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হবে। আবেদনের সময় এবার এনআইডি নম্বর দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৩টি সাধারণ ক্যাডারে ৫২০টি পদ, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। অনলাইনে আগামী ১০ জুলাই থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। যঃঃঢ়//নঢ়ংপ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ অথবা পিএসসির ওয়েবসাইটে (িি.িনঢ়ংপ.মড়া.নফ) এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও ফি প্রদান করা যাবে। পরীক্ষার ফি ও বয়স আগের মতোই রয়েছে। পিএসসি চেয়ারম্যান জানান, এবার নতুন বিভাগ ময়মনসিংহসহ আটটি বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, সরকারের প্রায় প্রতিটি কাজে এনআইডি নম্বর দরকার হলেও এতদিন বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে তা প্রয়োগ করা হয়নি। এ নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন বিভিন্ন সময়। যেহেতু পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই ১৮ বছরের ওপরে এমনকি অধিকাংশই ২২ বছরেও ওপরে সেখানে এনআইডি নম্বর ছাড়াই চলছিল বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া। তবে এবার সরকারের অন্যান্য কাজের মতো বিসিএসেও কার্যকর হলো এনআইডি। কমিশনের চেয়ারম্যান বলছিলেন, ৩৮তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন করতে বাধ্যতামূলকভাবে এনআইডি নম্বর লাগবে। একটা সিম কিনতে যদি এনআইডি লাগে, ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট করতে যদি এনআইডি লাগে, তো বিসিএস পরীক্ষা দিতে কেন আইডি নম্বর চাইব না? এতদিন যে এটা হয়নি এটাই তো বরং ভাল না। কারও এনআইডি না থাকলে কি হবেÑ এমন প্রশ্নে ড. সাদিক বলেন, তাহলে আমি তার পরীক্ষা নিতে পারছি না। যার আইডি নাই, আইডি সম্পর্কে যার সন্দেহ থাকবে, এটা তো একটা সমস্যা। আর ১৮ বছরের নিচের কেউ তো পরীক্ষা দিচ্ছে না। ফর্মে শুধু নাম আর ছবি লাগিয়ে আবেদন করা হয়। কেউ যদি ছবি বদলে ফেলে আপনি তো তাকে চিনতে পারবেন না। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন যে যদি এনআইডি না থাকে? এ ক্ষেত্রে আমার কথা হলো কেন থাকবে না? যদি কোন বিশেষ কারণে দু’একজনের এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে ক্ষেত্রে তারা আবেদন করলে আমরা বসে বিবেচনা করতে পারি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাদের বিষয়। তবে এনআইডি নম্বর নিয়ে আবেদন করতে হবে এটাই নিয়ম, এটাই এখন থেকে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, এর আগে পিএসসি চেয়ারম্যানের উদ্যোগ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি খাতার সঠিক মূল্যায়নের জন্য দুবার মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
×