ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষোভে উত্তাল ভারত, কোহলিদের বাড়িতে সেনা মোতায়েন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২১ জুন ২০১৭

ক্ষোভে উত্তাল ভারত, কোহলিদের বাড়িতে সেনা মোতায়েন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, তার ওপর মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। ক্রিকেট পাগল ভারতীয়রা ধরেই নিয়েছিল টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে যাচ্ছে বিরাট কোহলির দল। কিন্তু ঘটেছে উল্টো। কেনিংটন ওভালে শত্রুদের কাছে ১৮০ রানে হারের লজ্জায় ডুবেছে তারা। ক্রিকেট পাগল ভারতীয়রা বিষয়টা হজম করতে পারছে না। দিল্লী থেকে কানপুরÑ চলছে বিক্ষোভ। ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। ক্রিকেটারদের ছবিতে জ্বলছে আগুন। কোহলি-ধোনিদের বাড়ির সামনে পুলিশ আগে থেকেই ছিল, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে খেলোয়াড়দের তুলোধুনো করা হচ্ছে, কোহলির হাতে বাথরুমের কমড ধরিয়ে নোংড়া কোলাজ তৈরি করা হয়েছে। এক কথায়, পাকিস্তানের কাছে হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ভারতীয়রা। রবিবার ফাইনালে হারের রাতেই কানপুরে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে ভারতীয় খেলোয়াড়দের ছবিতে আগুন ধরানো হয়। অনেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উত্তেজনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বিরাট-ধোনিদের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী সেখানে যোগ দেয়। টিভি মিডিয়ায় দেখা যায়, কোহলি ও ধোনির বাড়ির সামনে বিশেষ সেনা ও পুলিশ সদস্য টহল দিচ্ছে। কানপুর, হরিদ্বার হতাশায় টিভি সেট ভাংচুর করে আবেগপ্রবণ ভারতীয় সমর্থকরা। কাপ হাতছাড়া হয়েছে কোহলিদের। মন ভেঙেছে কোটি কোটি ভারতবাসীর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বদলে কোহলি হাতে ধরে রয়েছেন কমোডের মতো তৈরি একটি কাপ। অবাক হলেও এমনটাই ঘটছে। টুইটারে একব্যক্তি ওই ছবিটি টুইট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘ভারতের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাপটি জিতেছেন বিরাট।’ এখানেই শেষ নয়, হারদিক পা-িয়ার আউট নিয়েও শুরু হয়েছে ট্রোল। তাকে এবং জাদেজাকে নিয়ে বেশ কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি হাসাহাসি হচ্ছে বুমরাহর নো-বল করা নিয়েও। যাতে বেঁচে যাওয়া ফখর জামান শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফাইনালের নায়ক বনে গেছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়েছিল কোহলির দল। অন্ধ ভারতীয়রা মনে করেছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালটাও তারা হেসে খেলে জিতবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো। গ্রেটেস্ট কামব্যাক বুঝি একেই বলে। গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর যে দলটিকে সবাই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল সেই তারাই কি না খেলল ফাইনাল এবং দাপটের সঙ্গেই জিতল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা। ৩৩৮-এর জবাবে মাত্র ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট ভারত। সেই ভারত যারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। যাদের সুযোগ ছিল টানা দুই শিরোপা জিতে রেকর্ড স্পর্শ করার। আরও ছিল প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিন শিরোপা জিতে নতুন রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কোথায় কি? সব শেষ যে নিদারুণ লজ্জার হারে। তাও চিরশত্রুদের কাছে। কেনিংটনের ওভালে তারুণ্যনির্ভর পাক ক্রিকেট চমকে দিয়েছে কোহলি, ধোনি আর যুবরাজদের। ১৮০ রানের বিরাট জয়ে ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপে হারের বদলা নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয়দের গা জ্বলা তো হবেই।
×