ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশেও তামিম

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২১ জুন ২০১৭

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশেও তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো উঠতে সক্ষম হয় সেমিফাইনালে। এই দুর্দান্ত সাফল্যের পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালের ধারাবাহিক নৈপুণ্য। তিনি ৭৩.২৫ গড়ে ২৯৩ রান করে তৃতীয় সেরা রান সংগ্রাহক হয়েছেন টুর্নামেন্টের। আর এ কারণেই আইসিসির বিবেচনায় গড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশে ঠাঁই করে নেন তামিম। এছাড়া জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বিবেচনায় সেরা একাদশে বাঁহাতি তামিম আছেন। এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বিবেচনাতেও এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশে স্থান দেয়া হয়েছে তামিমকে। তবে জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ফাইনালের আগে যে একাদশ গড়েছিলেন সেখানে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় শতক হাঁকানোয় জায়গা পেয়েছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী সাকিব আল হাসান। একই ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও শতক হাঁকান, সে সুবাদে তিনি ভারতীয় স্পোর্টস চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের বিবেচনায় জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে। বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে অন্যতম কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম। ধারাবাহিকভাবেই তিনি বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত সব নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন। আর সে কারণেই তিনি বাংলাদেশের পক্ষে তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই সর্বাধিক রান ও সেঞ্চুরির মালিক। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও তিনি আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে এ কারণে ইংলিশ গণমাধ্যমগুলোয় ফলাও করে আলোচনা করা হয়েছিল তামিমকে নিয়ে। ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকা ও টিভি, অনলাইন মাধ্যমগুলোয় তাকে ভয়ানক ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। সেটাকে সত্য প্রমাণ করেন তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস উপহার দেয়ার মাধ্যমে। পরের ম্যাচেই আবার ৯৫ রানের মান বাঁচানো এক লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেও সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ৭০ রানের আরেকটি কার্যকর ইনিংস উপহার দেন তামিম। এক ইনিংস করে বেশি খেলেছেন তালিকায় তার ওপরে থাকা দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। ৫ ম্যাচ খেলে ধাওয়ান ৬৭.৬০ গড়ে ৩৩৮ এবং রোহিত ৭৬.০০ গড়ে ৩০৪ রান করেছেন। আর এমন সাফল্যের কারণেই তামিম মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন। আইসিসির বিবেচনায় টুর্নামেন্টের সেরা একাদশ নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন, সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী, সাবেক পাকিস্তানী ওপেনার রমিজ রাজা, উইজডেন এ্যালম্যানাক সম্পাদক লরেন্স বুথ, এএফপি ক্রিকেট সংবাদদাতা জুলিয়ান গায়ার ও আইসিসির মহাব্যবস্থাপক জিওফ এ্যালারডাইস। সেখানে ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন তামিম। ২৫২ রান করা পাক ওপেনার ফখর জামানের সঙ্গে আছেন ধাওয়ান। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের দলে ৪ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন বিরাট কোহলি। দ্বাদশ ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই একাদশে আছেন জো রুট, বেন স্টোকস, আদিল রশিদ, জুনায়েদ খান, হাসান আলী, ভুবনেশ্বর কুমার। তবে ভোগলের একাদশে শুধু সাকিবই ছিলেন, তামিমের জায়গা হয়নি। সাকিব ৪২.০০ গড়ে করেছেন ১৬৮ রান। তবে আরেক মোটামুটি সফল ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ৪০.৭৫ গড়ে ১৬৩ রান করলেও কোন আলোচনাতেই নেই। ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতেও সেরা একাদশে জায়গা হয়েছে তামিমের। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটও তাদের বিবেচনায় বাঁহাতি এ ওপেনারকে সেরা একাদশে রেখেছে তামিমকে। কারণ তার ধারেকাছে বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যান দূরে থাক অন্যদেশের অনেকেই নেই। সিএ’র বিবেচনায় শুধু জো রুটের বদলে উইলিয়ামসন এবং জুনায়েদের জায়গায় আছেন মোহাম্মদ আমির। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম উইকেটে ২২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। উভয়ে করেন সেঞ্চুরি। সেই সুবাদে স্টার স্পোর্টসের বিবেচনায় টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে মাহমুদুল্লাহ জায়গা পেয়েছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৬৮.৫০ গড়ে ১৩৭ রান করেছেন আসরে মাহমুদুল্লাহ। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন একটি কার্যকর ইনিংস খেলার কারণেই তাকে বিবেচনা করা হয়েছে। এই একাদশে জায়গা পাননি কোহলি, ভুবনেশ্বর, ফখর, তামিম।
×