ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ শহীদ উল্লাহ সঞ্জু

সড়ক দুর্ঘটনারোধে কিছু প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২১ জুন ২০১৭

সড়ক দুর্ঘটনারোধে কিছু প্রস্তাব

আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের বিষয়। বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ‘মহামারী’ আকার ধারণ করেছে যা প্রতিদিনের পত্রিকার শিরোনাম হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মানুষের অন্তরে আতঙ্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। পাঠকগণ আমার এই লেখনীতে অনেকের আত্মসম্মানে আঘাত লাগতে পারে আবার অনেকের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটতেও পারে। তবুও আমি লিখব কারণ দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে সর্বোপরি আগামী নতুন প্রজন্মের নিরাপত্তার স্বার্থে আমার চিন্তা, চেতনায় ও উপলব্ধিতে যতটুকু এসেছে তা না লিখে পারলাম না। এই সড়ক দুর্ঘটনায় কত মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে এবং কত মানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে, কত সম্ভাবনাময় প্রাণ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হচ্ছে। সব কিছু দেখছি, শুনছি, বুঝছি কিন্তু করার কিছুই নেই। সত্যিই কি তাই! সাম্প্রতিক মিডিয়ার সুবাদে আমাদের দেশে একটা বিষয় খুব প্রচলন শুরু হয়েছে। যখন কোন বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে আর সেই দুর্ঘটনায় যদি দেশের কোন গণ্যমান্য খ্যাতিসম্পন্ন, বরেণ্য ব্যক্তি প্রাণ হারান তখন সব চ্যানেলে ‘টকশো’তে স্বনামধন্য, জ্ঞানীগুণী, সুশীল, সুধী, গবেষক, বিশ্লেষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার থেকে শুরু করে চিত্রনায়কসহ সবাই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সরবহন। ‘টকশো’তে আগত উল্লিখিত এসব স্বনামধন্য ব্যক্তিদের আলোচনার বিষয়বস্তু একটাই-সেটা সড়ক দুর্ঘটনার আইন কঠোর থেকে কঠোরতর করতে হবে, আইনের সংস্কার করে শাস্তির মেয়াদ বাড়াতে হবে, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে। গাড়ির মালিককে আইনের আওতায় আনতে হবে। এতে মনে হয় পরিবহন সেক্টরটা সবার প্রতিপক্ষ। সরকার মনে করে এই সেক্টরকে কঠোর হাতে দাবিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে জনগণ তার যে কোন দাবি তা রাজনৈতিক হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোক বা পাড়া-মহল্লায় যে কোন গোলযোগে তুচ্ছ ঘটনায় রাস্তায় নেমে গাড়ি না ভাঙলে যেন সঠিক প্রতিবাদ হলো না। আর টকশোতে আগত সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ শত্রু পক্ষ মনে করেন পরিবহন ব্যবস্থাকে। তাদের কথা শুনে মনে হয় যেন পরিবহন সেক্টর যুদ্ধাপরাধীর সমতুল্য। অথচ মাত্র কিছু দিন আগে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশকে সচল রাখতে পেট্রোলবোমা তা-বের মধ্যেও গাড়ির মালিক- শ্রমিক জানমালের তোয়াক্কা না করে জনগণের সেবায় নিয়োজিত হয়ে পরিবহন সচল রাখতে কত শ্রমিক ভাইয়েরা জীবন উৎসর্গ করেছে। পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে তাদের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে, কত মালিকের কোটি কোটি টাকার সম্পদ আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে আমাদের সকলের জানা এবং দেখা যা সারা দেশের মানুষ অবলোকন করেছেন। যারা পরিবহন ব্যবসা করে তারা এই দেশেরই দেশপ্রেমিক জনগণের একাংশ। আমাদের এই ঘৃণ্য সংস্কৃতি ও মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমস্যা হতেই পারে তার সমাধান খুঁজতে হবে। এই সড়ক দুর্ঘটনার প্রখরতা সৃষ্টি দীর্ঘদিনের অবহেলার পুঞ্জীভূত সমস্যার ফল। আলোচনায় অনেক কথায় বলা যায়, কিন্তু বাস্তবতা মাথায় রেখে সুষ্ঠু সুদূরপ্রসারী পরিকল্পিত পদক্ষেপ, (গবমধ চৎড়লবপঃ) এখনই গ্রহণ করতে হবে প্রসঙ্গত যদি ১০ জন চালকেরও ফাঁসি দেয়া যায়, আমি বলতে পারি সড়ক দুর্ঘটনা তিল পরিমাণেও কমবে না। বরং দেশ ও জাতি আগামীতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মৃত্যুর মিছিল আর পঙ্গুত্বের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিফলে যাবে। আমি ওনাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই ওনাদের জ্ঞানের পরিধি আন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি ও গভীর হতে পারে কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে ওনাদের জ্ঞান ভাসা ভাসা সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন : একজন দক্ষ ডাক্তার তৈরি করতে, একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে, একজন দক্ষ সেনা অফিসার তৈরি করতে এবং একজন দক্ষ পাইলট তৈরি করতে সরকারের কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হয়। আপনারা কি বলতে পারেন? একজন দক্ষ পরিবহন চালকের ক্ষেত্রে সরকারের একটি টাকাও কি ভর্তুকি দিতে হয়? ... না অথচ এই সেক্টর থেকে সরকার শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে । গত অর্থবছরেই আদায় করেছে ১২শ’ কোটি টাকা যা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে। ‘আপনি গাছ লাগাবেন জলপাইয়ের, আর ফল চাইবেন আঙ্গুর! সেটা কি সম্ভব?’ দেশের নীতিনির্ধারক, পরিকল্পনাবিদ, রাজনীতিবিদদের উদাসীনতার কারণে পরিবহন সেক্টর আজ চরম অবহেলিত এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে ফল পাওয়ার আশায় তাকিয়ে থাকি। দুঃখজনক হলেও সত্য, যে দেশে পণ্য কেনার মতো অর্থের বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স কেনা যায়, সে দেশে দক্ষ চালকের আশা করা অবান্তর। ড্রাইভিং পেশায় যারা আসে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একাংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা টার্মিনালে টোকাই হিসেবে আবির্ভূত হয়, তারপর গাড়ির হেলপার, কিছু দিনের ব্যবধানে আচম্কা একদিন চালকের আসনে, আর ওস্তাদের নেক নজর থাকলে তো কথায় নাই সে ট্রিপে চলে গেল, সে বনে গেল একজন ড্রাইভার। তার কোন যোগ্যতা যাচাই ছাড়া অর্থের বিনিময়ে পেয়ে গেল ড্রাইভিং লাইসেন্স। একজন গাড়ির মালিক সে চালক নিয়োগ দিবে কিসের ভিত্তিতে? মালিকের একটাই দেখার বিষয় সেটা তার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা? এর থেকে বেশি জানার কিছু কি থাকে? অর্থের বিনিময়ে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স তার হাতেই আছে। সরকার গাড়ির মালিককে এমন কোন যন্ত্র দেয়নি যা দিয়ে ড্রাইভার পরীক্ষা করা সম্ভব। এ সংক্রান্ত গাফিলতি যদি থাকে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ও সরকারের, তার খেসারত মালিককে কেন দিতে হবে? সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আমার সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব আছে যা বাস্তবায়ন করলে আগামীতে ৯০% সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে বিশ্বাস করি। প্রস্তাবনা মূলত দুটি। ১। দক্ষ চালক তৈরি : (ক)সম্পূর্ণ সরকারী উদ্যেগে অবকাঠামো সংবলিত (ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব) প্রত্যেক জেলায় ও বিভাগীয় সদরে একটি করে ড্রাইভিং ট্রেনিং একাডেমি (উঞঅ) স্থাপন করতে হবে। সেখানে শারীরিক যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে, কারণ একজন শিক্ষিত ব্যক্তির বিবেক বিবেচনা নীতি-নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ একটু হলেও থাকবে, যা দক্ষ চালকের ক্ষেত্রে অপরিহার্য, প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ ট্রেনার দিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাও প্রদান করতে হবে। (খ) আমি আগেও বলেছি যারা ড্রাইভিং পেশায় আসে তারা অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একাংশ। সুতরাং ট্রেনিংয়ের সময় শিক্ষানবিস চালকদের সরকারীভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষানবিস চালকদের ভাতা প্রদান করতে হবে। উল্লেখ্য, সরকার শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষার্থীদের বই, চাল, গম এবং স্কুলে টিফিন সরবরাহ করে থাকে প্রয়োজনে শিক্ষানবিস চালকদের এই ধরনের সুবিধা প্রদান করতে হবে। (গ) ট্রেনিং ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ১ বছর হতে হবে এবং ট্রেনিং পিরিয়ডে অবশ্যই দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রকৃত শিক্ষাদান করতে হবে। (ঘ) একজন দক্ষ চালকও দেশের সম্পদ হতে পারে এবং দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার যদি দক্ষ চালক তৈরিতে আন্তরিক হয়, এই সুযোগ সৃষ্টি হলে সারাদেশ থেকে দরিদ্র শিক্ষিত বেকার যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার প্রেরণা যোগাবে এবং আগামী নতুন প্রজন্ম নিরাপদ সড়ক চলাচলে প্রাণহানি ছাড়াই নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাবে। (ঙ) ট্রেনিং শেষে যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, তার ভিত্তিতে বিআরটিএতে মৌখিক (জড়ড়স ঞবংঃ) পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে। কোনভাবেই ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব বিআরটিএএর কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়া যাবে না। কারণ ইতোমধ্যেই বিআরটিএ একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। একাডেমির প্রধান কর্মকর্তার দায়িত্ব দিতে হবে সামরিক/আধাসামরিক বাহিনীর যোগ্য অফিসারের হাতে। তাহলে কোন স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতি হবে না বলে বিশ^াস। ২। সড়ক প্রশস্তকরণ ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ : (ক) বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার অধিকাংশই মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে হয়। এর মূল কারণ আমরা জানি না বা জানার চেষ্টাও করি না, আমার পরিবহন ব্যবসার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি বিভিন্ন সময়ে অনেক সড়ক দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন ও বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে কোন গাড়িকে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির গতি ও সময় পরিমাপে এবং যে গাড়িটিকে ওভারটেক করছে তার গতি উপলব্ধি করতে না পারা এবং সময় সমন্বয়হীনতার কারণে আগত গাড়ি ও যেটিকে ওভারটেক করছে এই দুই গাড়ির গ্যাপে পর্যাপ্ত দূরত্ব না থাকার কারণে শেষ মুহূর্তে আগত গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে যার গতি (ঙাবৎ ঝঢ়ববফ) অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে। এ ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেশি হয়। মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করে মুখোমুখি সংঘর্ষ ১০০% এড়ানো সম্ভব। তাই সারাদেশে সকল মহাসড়কগুলো (ঋড়ঁৎখধহব রিঃয জড়ধফ উরারফবৎ) এখন সময়ের দাবি। (খ) সড়কে কি পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে এবং এর জন্য প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণ সড়ক প্রশস্ত করতে হবে। মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে সড়ক পর্যাপ্ত প্রশস্তকরণ ও রোড ডিভাইডার নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। ফোর লেনসহ রোড ডিভাইডার থাকলে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের কোন সম্ভাবনাই ধাকবে না। সরকার যদি দক্ষ চালক তৈরিতে আন্তরিকতার সঙ্গে এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে এবং ভর্তুকি প্রদান করে তাহলে অনেক শিক্ষিত, বেকার ও দরিদ্র পরিবার থেকে মেধাবী এবং দক্ষ চালক তৈরি করা যাবে। শুধু দক্ষ চালকের হাতেই সড়ক নিরাপদ রাখা সম্ভব। বড় বড় সড়ক দুর্ঘটনার অধিকাংশই মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ঠিক এই ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আমার পরিবারের নিজ রক্তের দুটি তরতাজা প্রাণ অকালেই ঝরে গেছে আমি এবং আমার পরিবার ভুক্তভোগী ও শোকাহত। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেল এত সরকার এলো-গেল, এত জ্ঞানীগুণী, সুধীজন, গবেষক, বিশ্লেষক, নীতিনির্ধারক কারোরই মনে এই সামান্য প্রশ্নটা কোনদিন জাগেনি? যে একজন অদক্ষ, অদক্ষ বলছি এই কারণে তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-দীক্ষা নেই (‘ঁহংশরষষ রিঃয রষষরঃবৎধঃব’) একজন ব্যক্তি যার নিজের পরিবার তো দূরের কথা নিজের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ টুকুও নেই। তার পেছনে বসে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি, কবি, সাহিত্যিক, বিচারপতিসহ সকলে নিজের জীবন তার হাতে শোপে দিয়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনতে হবে? ভাগ্য ভাল থাকলে গন্তব্যে আর তা না থাকলে হাসপাতালে। ভাগ্যক্রমে বাঁচতে পারলেও পঙ্গুত্ব জীবন যে শুরু হবে না তাও বলা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০২১, এবং উন্নত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন ২০৪১, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দেখিয়েছেন, সেটাকে সমৃদ্ধ, সফল করতে টেকসই উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তাই এখনই পরিকল্পিত ও অবকাঠামো সংবলিত (গবমধ চৎড়লবপঃ) কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তাহলে আমরা আগামী দিনে নিরাপদ সড়কের সঙ্গে, সঙ্গে সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা ও সার্বিক উন্নয়নে আগামী দিনে নতুন প্রজন্ম উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাব এবং সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলায় পরিণত হবে ইনশাল্লাহ। লেখক : সহ-সভাপতি, রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতি
×