ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মো. হুমায়ুন কবীর

পাহাড় ধস প্রতিরোধে মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২১ জুন ২০১৭

পাহাড় ধস প্রতিরোধে মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন

সরকারীভাবে একটি সফরে ২০০৫ সালে ফিলিপিন্সে গিয়েছিলাম। আমরা জানি ভৌগোলিকভাবে ফিলিপিন্স দেশটি পাহাড় ও সমুদ্র বেষ্টিত। সেখানে গিয়ে আমি শুনেছি তার ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালে ফিলিপিন্স জুড়ে পাহাড়ধস হয়েছিল। সেই ভয়াবহ পাহাড়ধসে তখন হাজার মানুষের ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেখানে অনেক মানুষের জীবনও গিয়েছিল এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে, বিদ্যুত জ্বালানিসহ জরুরী সেবাসমূহে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমরা যখন বাংলাদেশী ভ্রমণকারী দিলটি সাগরের পাড় ঘেঁষে বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকা পরিদর্শন করছিলাম; এক বছর গত হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতটি চোখে পড়ার মতোই ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন পাহাড়ী দেশেই পাহাড়ধসের এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। কিছুদিন বিরতিতে এমন ঘটনা অনেকটা স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় সাম্প্রতিক পাহাড়ধস এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর্যায়ভুক্ত। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের পাহাড়ধসের বিষয়টি আরও এক ডিগ্রী বেশি ভয়াবহতা লাভ করেছে। কারণ এবারে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং মানুষের হতাহত হওয়ার সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কারণ এবারে যেখানে পুরো দুর্যোগটিতে মোট হতাহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক অর্থাৎ ১৫৬ জনের মতো, সেখানে এককভাবে শুধু একটিমাত্র জেলা রাঙ্গামাটিতেই হতাহতের সংখ্যা প্রায় ১১৫ জন। দেড়-দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পাহাড়ধসও যেমন ঘটছে, ঠিক তেমনি মাটিচাপা পড়া ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও একটি দুটি করে মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। সেই হিসেবে ক্ষণে ক্ষণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণাতীতকালে আর কখনও দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক ইতিহাসটি হচ্ছে, গত ১১ জুন ২০১৭ থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে উপকূলবর্তী পাঁচটি জেলা তথা- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি ইত্যাদিতে ব্যাপক পাহাড়ধস দেখা দেয়। এ সম্পর্কিত অতীতের নিরীক্ষাগুলো বলছেÑ ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামের সাতটি স্থানে পাহাড় ধসে মাটিচাপায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকার পাহাড় ধসে চার পরিবারের ১২ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের টাইগার পাস এলাকায় বাটালি হিলের ঢালে পাহাড় ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ২৬-২৭ জুন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেটে ৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৫ সালের ২৬-২৭ জুন টানা বর্ষণ, পাহাড় ধসে এবং পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজারে ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। তার মানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতিবছরই যখন পাহাড়ধস ঘটছে তখন তা ঘটছে আসলে বেশিরভাগই জুন মাসে। আবহাওয়া কিংবা ভূতাত্ত্বিকভাবে পূর্বাভাস থেকে যতদূর জানা যায়, সেখানে দেখা গেছে প্রতিবছরের জুন থেকে আগস্ট- এ তিন মাস পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে জুন মাসেই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি পাহাড়ধস হতে দেখা যায়। কিন্তু আগেই বলেছি এবারের ১১ জুন ২০১৭ তারিখের পাঁচটি জেলায় পাহাড়ধস সবকিছু উল্টপাল্ট করে দিয়েছে। এবারের এ দুর্যোগের অন্যতম একটি ভয়াবহ দিক হলো দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড় ধস হওয়া এবং এর কারণে পুরো এলাকার জনদুর্ভোগ চরমে ওঠা। শুধু তাই নয়, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষগুলো তো প্রাণ হারিয়েছেই, সেইসঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যের উদ্ধারকারী একটি চৌকস দল। যেখানে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন পদবীর কর্মকর্তাও রয়েছেন। এখন আমরা আসি কেন এরকম পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। এটা কি শুধু আমাদের বাংলাদেশেই ঘটে থাকে নাকি বিশ্বের সবখানেই ঘটে। এসব বিষয় বিস্তারিত আলাপ করতে হলে কিছু উদাহরণ সামনে নিয়ে আসা প্রয়োজন। উপরে আমি যে বর্ণনাক্রমিক উপাত্ত পেশ করলাম তাতে দেখা যায় ক্রমে ক্রমে বাংলাদেশে এ দুর্ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কাজেই দুর্যোগ সম্পর্কে শুধু অলোকপাত করলেই চলবে না, এর প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকারসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আর এটি করতে হলে তার জন্য এক বছর দুই বছর কিংবা পাঁচ বছরের কোন পরিকল্পনা তেমন কাজে আসবে না। সেজন্য প্রয়োজন হবে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা। যেসব কারণে পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়, তার অনেক কারণ থাকলেও মূল কারণ আসলে জলবায়ু পরিবর্তন। ইতিপূর্বে যেসব পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছে তার একটির চেয়ে আরেকটির তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পাহাড়ের মাটির রকম ফের অর্থাৎ সেখানকার সয়েল প্রোফাইল, সয়েল টেকচার, সয়েল স্ট্রাকচার ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কোন পাহাড় কতটা শক্ত বা নরম। বাংলাদেশের ভুমিরূপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাহাড়গুলোর বেশিরভাগই বালিমাটির স্তর দ্বারা সৃষ্ট। আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য পাহাড়ী দেশের যে পাহাড় পর্বতগুলো দেখতে পাব সেগুলোর বেশিরভাগই শক্ত পাথরের মতো মাটি দ্বারা সৃষ্ট। সেজন্য সেখানকার পাহাড়ধস কোন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা নয়। কালেভদ্রে যদিওবা কখনও সখনও পাহাড়ধস হয়, তবু তা এতো ভয়াবহ আকার ধারণ করে না। বাংলাদেশের পাহাড়গুলোর উচ্চতা এত বেশি নয়। কেওক্রাডাং নামের পাহাড়টিই সবচেয়ে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন। কাজেই এসব পাহাড় একদিকে যেমন বেশি উচ্চতাসম্পন্ন নয়, অপরদিকে পাহাড়ের মাটিগুলো আলগা ও বেলে প্রকৃতির। পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে নেওয়া, পাহাড় কেটে নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করা, পাহাড়ের ঢালে অপরিকল্পিতভাবে বসতি স্থাপন করা, পাহাড়ের প্রাকৃতিক গাছ গাছালীর বাগান সৃজন না করে শুধু গাছপালা কেটে উজাড় করে নেওয়া ইত্যাদি আরও নানাবিধ কারণে পাহাড়ধসের মতো ঘটনা অহরহ হচ্ছে। পাহাড়ের মাটি সরানোর কয়েকটি ধাপ রয়েছে। পাহাড় কেটে কেটে মাটি দিয়ে ইট পোড়ানো, অন্যত্র রাস্তা তৈরির জন্য মাটি স্থানান্তর, দ্রুত নগরায়নের কারণে মাটি নিয়ে নতুন নতুন নিচু জায়গা ভরাট করার কাজে ব্যবহার ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া স্বাভাবিক কারণেই ইদানীং পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে রাস্তা তৈরির জন্যও পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। বর্ষাকালে একটি নির্দিষ্ট সময় ও তাল অনুযায়ীই প্রতিবছর বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়ে থাকে যা অনেকটা রীতিসিদ্ধ। কিন্তু যেসব বছরগুলোতে পাহাড়ধস হয়েছে সেসব বছরগুলোতে আগাম বৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টি, দীর্ঘ সময়ের বৃষ্টি ইত্যাদিও বড় কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এমনিতে বেলে মাটি, তার উপর অধিক এবং দীর্ঘসময় বৃষ্টি, তাছাড়া গাছ গাছালী কাটা তো রয়েছেই, পাশে আরও যোগ হয় বেলে ও আলগা ধরনের মাটি। ইদানীং প্রকৃতিতে আরেকটি অভিশাপের কথা আমরা সকলে লক্ষ্য করছি। সেটি হলো ভূমিকম্প এবং বজ্রপাত। দুটিই একটি আরেকটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। কারণ ভূকম্পনের ফলে যেমন ভূপৃষ্ঠ কেঁপে উঠে এবং মাটির ভিতর বাহির আন্দোলিত হয়, ঠিক তেমনি বজ্রপাতের সময়ও মৃদু হলেও ভূপৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে। তখনও মাটির উপরিভাগ আন্দোলিত হয়ে পাহাড়ের উপরের বেলে ধরনের মাটি আলগা হয়ে পড়ে। আর বালুকাময় মাটি বলে এর প্রভাব একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়। আমরা এও জানি যে, উক্ত অঞ্চলে এ দুর্যোগের মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই ‘মোরা’ নামক একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সেসব এলাকাকে আন্দোলিত করে গেছে। এসব পাহাড়ধসে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশি প্রাণহানির অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত আবাসন। দেখা গেছে একশ্রেণীর লোভী প্রভাবশালী ব্যক্তি পাহাড় দখল করে তাতে আবার টাকার বিনিময়ে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে পাহাড়ের ঢালে কোন রকম নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে ছোট ছোট বাড়িঘর তৈরি করে দিয়ে বিরাট অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। আর পাহাড়ের পাদদেশে বসতবাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন রকম বাছ বিছার না করে ঢালাওভাবে যেখানে সেখানে মানুষকে থাকতে বাধ্য করে। সেখানে কোন্ পাহাড়ের মাটি কেমন, কোন্ পাহাড়ে থাকা নিরাপদ, কোন্টি নিরাপদ নয়, সেরকম কোন ভাবনার সুযোগ থাকে না। এবারেও যে পাহাড়ধস হয়েছে তার মধ্যে এসব কারণেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞগণ। এবারে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ব্যাপক আকারে ও বিরাট জায়গা জুড়ে পাহাড়ধস হওয়ার কারণে। দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও সেখানকার রাস্তাঘাট, জ্বালানি, বিদ্যুৎব্যবস্থা, সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে পানি বিদ্যুৎসহ অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পরিসেবাসমূহ প্রাপ্তি দুরূহ হয়ে পড়েছে। একে তো রমজান মাস, তার ওপর যোগাযোগ ও সরবরাহ না থাকার কারণে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে এবং জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য ধারণ করেছে। তবুও বিভিন্ন সময় কথায় আছে, ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’। প্রতিবারেই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেক হাঁকঢাক শোনা যায়। কিন্তু যখনই বিপদ কোন রকমে কেটে যায় তখন আর ঠেকায় কে? আবার সকল পর্যায় থেকেই বেমালুম ভুলে যায় সবাই। কি ভুক্তভোগী, কি সংশ্লিষ্ট এলাকা, কি সংশ্লিষ্ট বিভাগ কিংবা দফতর। সর্বশেষ ২০০৭ সালে পাহাড় ধসের পর এ বিষয়টি প্রতিরোধে একটি সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ৩১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি তখন ২৮টি কারণ চিহ্নিত করেছিল এবং ৩৬ দফা সুপারিশও প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু বিগত দশ বছরেও এসব সুপারিশ আলোর মুখ দেখেনি বলে জানা গেছে। কারণ একটাই আর তা হলো বিপদ কেটে গেছে! পাহাড়ধসের সঙ্গে পরিবেশের একটি বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। পাহাড়ধস মানেই পরিবেশের বিপর্যয়। কাজেই পরিবেশের উন্নয়ন করতে হলে মহাপরিকল্পনার বিকল্প নেই। সেই মহাপরিকল্পনা নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী যা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। বাড়িঘর পরিকল্পিতভাবে বানাতে হবে। প্রতিটি বাসযোগ্য পাহাড়ের চারদিকে শক্তিশালী বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করতে হবে। বর্তমানে যারা পাহাড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাদেরকে সরকারীভাবেই একটি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেটি করার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় সরকারকে আর্থিক বরাদ্দসহ দায়িত্ব প্রদান করতে পারে। পাহাড়ে বাড়িঘর বানানোর একটি অবশ্য পালনীয় এবং সকলের গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যে বছর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি ঘটবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে, সে বছর আগে থেকেই পাহাড়ে বসবাসকারী জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। এসব কাজ করার জন্য অত্যধিক বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। পাহাড়ে সমতল ভূমির সঙ্গে ২৬ দশমিক ৫ থেকে ৩০ ডিগ্রী কোণে ঢাল থাকাটা আদর্শ। কিন্তু বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড় কাটতে কাটতে ৬০, ৭০ কিংবা ৯০ ডিগ্রী পর্যন্ত ঢাল তৈরি করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব ঠিক রেখে নিরাপত্তা দেয়াল তৈরি করে দিতে হবে। পাহাড় থেকে কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৫০০ মিটার দূরে বাড়িঘর তৈরি করতে হবে। এসব বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সরকারী নির্দেশে তৎপর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এ তৎপরতা কোন অজুহাতেই বন্ধ না করে সামনে চালিয়ে নিতে হবে। তাহলেই কাক্সিক্ষত সাফল্য আসবে। লেখক : কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×