ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আসছে ঈদ। সবাই ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো। ক’টি দিন কাটবে আনন্দে আর উৎসবে, ভোজনে পানে।

ঈদের ছুটির স্বাস্থ্য টিপস

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২০ জুন ২০১৭

ঈদের ছুটির স্বাস্থ্য টিপস

ঈদের ছুটির ক’টি সতর্কতামূলক স্বাস্থ্য টিপস * খাবারের চেয়েও আনন্দের দিকে মন দিন। পেট ভারি না করে মন ভরে তুলুন উৎসবের আনন্দে। * ঈদের খাদ্য তালিকা হয় স্বভাবত ভারি-গুরুপাক, খাদ্য তালিকাতে তাই বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে সালাদের প্রাধান্য বিস্তার করলে কেমন হয়। * মজার মজার সবজি সালাদ পরিবেশন করুন, ফলমূলও বাদ দিবেন না। * অতি ভোজনে পেট ফাপতে পারে, গ্যাসট্রিক এ্যাসিডিটি বাড়তে পারে। ডমপেরিডন ও র‌্যানিটিডিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিলে উপকার পাবেন। * যাত্রাকালীন মনে স্বস্তি রাখুন। খোলামেলা পোশাক পরুন। পরিজন নিয়ে যাত্রার সময় অতি ঝুঁকি পূর্ণ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। ভ্রমণকালীন অসুস্থতার জন্য মেকলেজিন খেয়ে নিন। বমি কমে যাবে। অনেক আত্মীয়স্বজনের মাঝে নিজেদের ও বাচ্চার স্বাস্থ্য রক্ষার স্বাভাবিক নিয়মগুলো যেন ব্যাহত না হয়। পানি ফুটানো থেকে শুরু করে বাসন কোসনের পরিচ্ছন্নতার দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখুন তাতে করে ডায়ারিয়া, আমাশয় কম হবে। রোগ কিন্তু উৎসবকে প- করে দেবে। সতর্কতা থাকলে কিন্তু এসব অসুখ কম হবে। * বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে। গ্রামদেশে অরক্ষিত পুকুর থেকে আপনার সাঁতার না জানা বাচ্ছাকে রক্ষা করতে হবে। সাপ-কীটপতঙ্গের কামড়ের ভয়কে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। কুকুর বা বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ানোর ভয় থেকেই যায়। আপনার হাঁটি হাঁটি পা পা বাচ্চাটি সবার হট্টগোলের ফাঁকে অনেক অঘটন ঘটাতে পারেÑ রাস্তায় চলে যেতে পারে, যেখানে দ্রুতগামী যানবাহন চলছে, বাথরুমের বড় বালতিতে উল্টায়ে পড়ে থাকতে পারে, রান্নাঘরের কাঠ বা গরম জিনিসের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে। উৎসবের হট্টগোলে বিপদগুলো বাড়ে বেশি। * ঈদের এ ক’দিনে ওজন বাড়তে দেবেন না। ছুটির আলস্যের বাড়তি ওজন কিন্তু সারা বছরে কমানো দায় হবে। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা যায়, সে দেশে শীতের ছুটির ক’দিন যে ওজন বাড়ে পরের সারা বছরে তা আর কমছে না। ঈদ উৎসবে তাই আরও সচল হয়ে উঠুন। আনন্দ গানের পূর্ণমিলনের অনুষ্ঠানাদিতে ভরে থাকুক সাইক্লিং, সাঁতার, ফুটবল প্রতিযোগিতার মতো উৎসবের আয়োজন করুন। * জীবনের ছন্দ ঠিক রাখুন, হাঁটুন, কিংবা ব্যায়ামটুকো ঠিক রাখুন। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতে হেঁটে হেঁটে টুঁ মারুন। * খাওয়া-দাওয়া ও পান ছাড়া অন্য কোন প্রকল্প হাতে নিন এবার ঈদে। যা কিনা পরবর্তীতে চিরন্তন স্মৃতি-সুধায় পরিণত হবে। ফ্যামিলি ফটোসেশন শুরু করুন, লম্বা বারান্দায় গানের আসরটি বসান। বন্ধু-বান্ধবীদের দাওয়াত করে আড্ডায় মাতুন। * খাওয়া-দাওয়া ও টিভির অনুষ্ঠান দেখাই কিন্তু ঈদ উৎসব নয়। খাওয়া পরিমিত রাখুন, অপরিমিত আনন্দে মাতুন। ডাঃ এটিএম রফিক উজ্জ্বল শিশু বিভাগ, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ঢাকা
×