ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাজমুল রনির ঈদ নাটক ‘প্রক্সি’

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২০ জুন ২০১৭

নাজমুল রনির ঈদ নাটক ‘প্রক্সি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারের জন্য সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘প্রক্সি’। সৈয়দ ইকবালের রচনায় নাটকটি পরিচলনা করেছেন তরুণ নির্মাতা নাজমুল রনি। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুর নূর সজল, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, মম আলীসহ আরও অনেকে। নাটকের চিত্রগ্রহণ করেছেন রনি খান, সম্পাদনা মাহমুদ মাহিন এবং প্রযোজনায় জহিরুল ইসলাম। ‘প্রক্সি’নাটকটি ঈদের পঞ্চম দিন রাত ৮টায় এশিয়ান টিভিতে প্রচার হবে। নাটকের গল্পের দেখা যাবে রাফি খুব সহজ-সরল ও কিছুটা গোবেচারা টাইপের ছেলে। সহজ-সরল হলেও অন্য আট-দশটি ছেলের চাইতে অনেক আলাদা রাফি। তেমন কোন বন্ধুবান্ধব নেই বললেই চলে। তবে মহল্লার যে কারও প্রয়োজনে রাফিকে সবার খুব প্রয়োজন হয়। কারও অনুপস্থিতিতে রাফি খুব সহযোগিতার মানুষ হয়ে যায়। যেমন পাড়ার বড় ভাই বাড়িতে যাওয়ার সময় টিউশনিটা রাফিকে দিয়ে যায়। বড় ভাই যখন বাড়ি থেকে আসে তখন আবার সে রাফিকে বিদায় দিয়ে টিউশনিটা নিয়ে নেয়। রাফি একটি থিয়েটারে যাওয়া-আসা করে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে ওই থিয়েটারে গেলেও তাকে এখন পর্যন্ত কোন নাটকে চরিত্র দেয়া হয়নি। তাতে কী! কোন দিন রিহার্সেল এ না আসলে সেই চরিত্রটি রাফি প্রক্সি দিয়ে থাকে। এমন নানান কাজে রাফি দিন দিন প্রক্সিই দিয়ে থাকে। পাড়ার একটি ছেলের নাম নয়ন। তার আবার একটি গার্লফ্রেন্ড আছে। নাম তার সবিতা। সবিতা আর নয়নের সম্পর্ক প্রায় ৩ বছর। সবিতা একটু আর্ট-কালচার মাইন্ডের। পক্ষান্তরে নয়ন কিছুটা ডিজুস টাইপের ছেলে। ব্র্যান্ডের রেস্টুরেন্টে খাওয়া, দামী গাড়িতে ঘুরা এবং ব্র্যান্ডের সব পোশাক কেনা পছন্দ নয়নের। পক্ষান্তরে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, চাঁদের আলো ভাল লাগে সবিতার। দুজনের মতের অনেক অমিল থাকলেও সবিতা আর নয়নের প্রেমটা ঠিকই চলছে। কারণ নয়ন সবিতাকে এবং সবিতা নয়নকে সত্যিই ভালবাসে। একদিন নয়ন এসে সবিতাকে জানায় বিদেশে ছোট্ট একটি ডিপ্লোমা কোর্স করতে নয়নকে লন্ডন যেতে হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ মাসের কোর্স। নয়নের এমন কথায় সবিতা প্রায় নিঃস্তবব্ধ হয়ে যায়। কারণ প্রতিদিন সন্ধ্যায় নয়ন সবিতাকে নিয়ে ঢাকার আশপাশে ঘোরা, শিল্পকলায় নাটক দেখানো, সপ্তাহে একদিন শপিং করানো কিংবা বইয়ের মার্কেটে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু নয়ন ৬ মাসের জন্য বিদেশে চলে গেলে সবিতার সঙ্গে এই কাজগুলো কে করে দেবে। কারণ সবিতার ভাল কোন বন্ধুও নেই। বন্ধু-বয়ফ্রেন্ড যাহাই বলা হোক না কেনÑ নয়নই সব। অনেক বোঝার পর নয়ন রাফির কথা জানায় সবিতাকে। যাওয়ার আগে সবিতার সঙ্গে নয়ন দেখা করিয়ে দেয় রাফিকে। নয়ন চলে যায় লন্ডন। এরপর প্রতিদিন নয়ন আর সবিতার দেখা হয়। রুটিনমাফিক কাজগুলো হতে থাকে। কিন্তু সবিতা রাফিকে ভিন্নভাবে আবিষ্কার করে। যে সবিতা কোন ছেলের সঙ্গে না মিশে শুধু নয়নের প্রেমে হাবুডুবু ছিল সে রাফির প্রতি অন্যভাবে দুর্বল হতে থাকে। কারণ, সবিতার যা যা পছন্দ তার সবই আছে রাফির কাছে।
×