ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অলৌকিক কিছু আশা করছেন না কোচ অর্ড

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২০ জুন ২০১৭

অলৌকিক কিছু আশা করছেন না কোচ অর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমাদের দলে আক্রমণভাগে কিছু সমস্যা আছে। কিছু ফুটবলারের জ্বর ও ইনজুরির কারণে তাদের সেভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারিনি। তবে যাদের পেরেছি, তাতে মনে হয়েছে নবীনদের মধ্যে প্রতিভা আছে। তবে এই দলকে দিয়ে অলৌকিক কিছু আশা করাও যায় না। তারা যেন বিদেশের মাটিতে দেশের ফুটবলের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে সে চেষ্টাই করে যাব। ফুটবলে অসম্ভব কিছুই না। তবে আমি এই টুর্নামেন্টে কোন কিছুর নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। কোন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়া।’ কথাগুলো এ্যান্ড্রু অর্ডের। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ। সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সম্মেলন কক্ষে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আগামী ১৯ জুলাই থেকে ফিলিস্তিনে শুরু হচ্ছে এএফসি অনুর্ধ ২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপের খেলা। এতে অংশ নেবে বাংলাদেশ অনুর্ধ ২৩ জাতীয় ফুটবল দল। গত ৭ জুন বাফুফের সঙ্গে এক বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান অর্ড আরও জানিয়েছেনÑ এ টুর্নামেন্টে কোন লক্ষ্য নেই তার। তবে এই দল থেকেই ভবিষ্যতের একটি শক্তিধর দল গঠনের উদ্দেশ্য আছে। সোমবার ৫৪ জনের প্রাথমিক দল কাঁটছাঁট করে তা ৩৬ জনে নামিয়ে আনেন ৩৭ বছর বয়সী অর্ড। আজ মঙ্গলবার থেকে সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে শুরু হবে যুবাদের দু’বেলা করে অনুশীলন। মাঝে তিন দিন ঈদের বিরতি থাকবে। এরপর আবারও আরম্ভ হবে ক্যাম্প। ফিলিস্তিন যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলকে একাধিক অনুশীলন ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা আছে বাফুফের। এএফসির এই আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে জর্দান, তাজিকিস্তান এবং স্বাগতিক ফিলিস্তিন। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ১৯, ২১ এবং ২৩ জুলাই। অর্ড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। মূলত টুর্নামেন্টটা হবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখার। তারা দেশের বাইরে কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কেমন খেলে। তাদের মনোবল, সামর্থ্য কেমন সেটা দেখা এবং সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এবং সাফের জন্য দল গঠন করা।’ ভবিষ্যতে ভাল ফুটবলার তৈরি করতে অনুর্ধ ১৯ দলের ফুটবলারদের দলে বেশি সুযোগ দিয়েছেন অর্ড, ‘আমরা প্রথমে ৫ দিন ও পরবর্তীতে ৩ দিনের ট্রায়াল নিয়েছি। ট্রায়ালে অনুর্ধ ১৯ দলের বেশকিছু ফুটবলারদের ডাকা হয়েছিল। লক্ষ্য করলে দেখবেন ৩৬ জনের দলে ৯ জন আছে অনুর্ধ ১৯ দলের। অর্থাৎ ২৫ ভাগ ফুটবলার ১৯ দলের। তাদের সুযোগ দেয়া এবং ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা আমার দায়িত্ব।’ প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে অর্ডের মূল্যায়ন, ‘দেশের বাইরে গিয়ে খেলা সবসময়ই কঠিন। জর্দান, তাজাখস্তান ও ফিলিস্তিন শক্তিধর দল। কিন্তু আমরা মোটেই ভয় পাচ্ছি না। আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। দলটাকে ভালভাবে গুছিয়ে নেব। আশা করছি ভাল কিছু করব।’ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু জানান, ‘এএফসি কাপের নিয়ম অনুযায়ী ২৩ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হবে। প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখে পজিশন অনুযায়ী দল গঠন করা হবে। বাংলাদেশ কবে যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি একটা এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার জন্য।’ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক দল ঘোষণার পর দেখা গেছে বেশকিছু ফুটবলার এখনও দলে যোগ দেননি। জুয়েল রানা এবং হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস অসুস্থ। হেমন্ত চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। মনসুর আমিনের বাবা খুবই অসুস্থ। রুবেল মিয়া হালকা চোটগ্রস্ত। তবে কৌশিক ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন রবিবার। সহিংসতাপূর্ণ ফিলিস্তিনে নিরাপত্তা বরাবরই একটা সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা কোথায়? রূপু জানান, ‘এএফসি যেহেতু টুর্নামেন্টটা ওই দেশে আয়োজন করেছে। নিশ্চয়ই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাব আমরা।’
×