ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটে ওসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২০ জুন ২০১৭

সিলেটে ওসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের ‘নির্যাতন’ ও ‘নিপীড়নের’ সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এলাকার লুৎফুর রহমান। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লুৎফুর রহমান বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেন টাকার বিনিময়ে হয়রানি ও জনজীবন বিপন্ন করে তোলার মতো কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। এমনকি জোর করে বিয়েশাদি দিতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। লুৎফুর রহমান অভিযোগে জানান, গত ১০ জুন সিলেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জ সদরের সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে নামামাত্র হালিমা আক্তার নামের ‘নষ্টা মেয়ে’ তার ভাই সাইদুর রহমানকে জাপটে ধরে এবং বিয়ে করে উঠিয়ে নিতে বলে। ওই সময় সাইদুর রহমান বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে হালিমা আক্তার গু-াপা-া দিয়ে সাইদুরকে এক দোকানে আটকে রাখে। লুৎফুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনকে জানাই। তিনি থানার এসআই আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠিয়ে আমার ভাই সাইদুর রহমানকে উদ্ধার করে হালিমা আক্তারসহ থানায় নিয়ে যান। থানায় সাইদুর রহমানের কাছ থেকে ওসি আলতাফ সম্পূর্ণ ঘটনা শোনেন এবং তাকে ছেড়ে দেয়ার অঙ্গীকারও করেন। কিন্তু দুই ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাত কারণে পাল্টে যান ওসি আলতাফ। তিনি নষ্টা ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য আমার ভাইসহ আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। ভারতে পাচারকৃত গৃহবধূ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ১৯ জুন ॥ বিউটি পার্লারে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু প্রদেশে পাচারের ৪৯ দিন পর অবশেষে শাহজাদপুরের এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাচারকারী সুমিসহ ঘটনায় জড়িত কুদ্দুস ও হানিফ নামের ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে, ওই গৃহবধূকে ৪৯ দিন পর ফেরত পেয়ে তার মা ও স্বামী পুলিশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, গত ২ মে শাহজাদপুর পৌরসদরের দ্বারিয়াপুর মহল্লার মৃত আবু শামার মেয়ে পাচারকারী সুমি তার মেয়ে ভিকটিম (১৬)কে ঢাকায় বিউটি পার্লারে মাসে ৪০/৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ঢাকায় পাচারকারী চক্রের সদস্য বাবুর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন ৩ মে ভারতে পাচারের জন্য আরেক পাচারকারী আজিমের হাতে ভিকটিম গৃহবধূকে তুলে দেয়া হয়। ওই দিনই ভারতের ব্যাঙ্গালুরু প্রদেশে আজিমের বোনের বাড়িতে পাচারের জন্য ভিকটিমকে আজিম বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মিনা খাতুন গত ১৬ মে সুমিসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমির ভাই হানিফ সেখ ও উপজেলার মাদলা গ্রামের ড্রাইভার কুদ্দুসকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৈয়ব গত ২৯ মে ঢাকা থেকে সুমিকে আটক করে। এরপর তাকে দুই দফা ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তবেই সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার ভারতের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় ওই পাচারকারী চক্র গৃহবধূকে ফেরত দিতে রাজি হয়।
×