ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় পুকুর খননের নামে পুকুরচুরি

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২০ জুন ২০১৭

নওগাঁয় পুকুর খননের নামে পুকুরচুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৯ জুন ॥ মৎস্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের রামরায়পুর দীঘি পুনর্খননের নামে পুকুরচুরির অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দকৃত অর্থে মাটি না কেটে পার্শ্ববর্তী রানীনগর উপজেলার ইটভাঁটি মালিক সাইদুর রহমানের কাছে ওই দীঘির মাটি বিক্রি করে পুনর্খনন কার্যক্রম দেখানো হয়েছে। দীঘি পুনর্খননে বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ কৌশলে আত্মসাত করে দীঘির বিক্রীত মাটির অর্থও ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সরকারের উপর মহলে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় রামরায়পুর দীঘি সংস্কার বা পুনর্খননের জন্য ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এলসিএস কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির দলনেতা রমজান আলী ও উপ-দলনেতা শাহাজুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার নিকট আত্মীয় জেলা পরিষদের সদস্য ডাঃ মহসীন আলী যোগসাজশ করে কমিটির অন্য তিন সদস্যকে বাদ রেখে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাঁটি মালিকের কাছে সেই মাটি বিক্রি করেন। কিন্তু শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে মর্মে মাস্টার রোল তৈরি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারী টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়। এই মাটি বিক্রির টাকা ও বরাদ্দকৃত ২৩ লাখ টাকা দলনেতা ও উপ-দলনেতার সহায়তায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ সদস্য মহসীন আলী আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, কাজ এখনও চলমান। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ লাখ টাকার বিল দেয়া হয়েছে। দীঘির মাটি কেটে পাড়ে রাখার বিধান থাকলেও এত বেশি মাটি কাটা হয়েছে যা বাধ্য হয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এখানে কোন অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি।
×