ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে মন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২০ জুন ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য বর্তমান সরকার ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার অনুপাতে প্রতি জেলা-উপজেলায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান। মন্ত্রী আরও জানান, দেশে ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৭১ দশমিক ১২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫০০ বর্গফুটের একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৭১টি বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৬৩টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। বাকি ৩৮৭টি বাসস্থান তৈরির কাজ চলমান আছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাজাকারদের ঘৃণা জানাতে ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী মানব ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা সংঘটিত করে বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল বধ্যভূমিতে। বাঙালী জাতি পাকিস্তানী বাহিনীর এরূপ ঘৃণ্য বর্বরতাকে কখনও ভুলবে না। স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য একটি ঘৃণাস্তম্ভ তৈরির পরিকল্পনা আছে। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সংসদে জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ও জোরাল ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে নিয়মিত মামলা ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, জলাভূমি ভরাট করার অপরাধে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প বর্জ্য হতে দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে তরল বর্জ্য নির্গমনকারী সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ‘জিরো টলারেন্স’ পলিসি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯১টি প্রতিষ্ঠান হতে পরিবেশ দূষণের জন্য ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য এবং তার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এই সময়ে এক হাজার ৫৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপিত হয়েছে। সরকারী দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিল্প দূষণ থেকে সৃষ্ট পানি যাতে দূষিত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনপূর্বক ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করে নদীগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আর হাজারীবাগ ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড হতে সারাদেশে বনায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
×