ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন

বাকিতে চাল আমদানি করা যাবে

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২০ জুন ২০১৭

বাকিতে চাল আমদানি করা যাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও চাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা যাবে। চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার ব্যাংকগুলোকে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন চাল আমদানিকারকেরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে হাওর এলাকার বন্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চালের স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে, যাতে চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণে চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র আরও জানায়, ধান, চার ব্যবসায়ী ও চাতাল মিল মালিকদের ঋণ পরিশোধ সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর একটি সার্কুলার জারি হয়। ওই সার্কুলার অনুযায়ী ৩০ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ বা সমন্বয় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, শিগগির দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে শূন্য মার্জিনে এলসি খোলার নির্দেশনা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ জমা দিতে হয়। নগদ টাকা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে সুবিধা পাবেন।
×