ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লিয়ারিং কোম্পানিতে স্টক একচেঞ্জের মালিকানা ৬৫ ভাগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২০ জুন ২০১৭

ক্লিয়ারিং কোম্পানিতে স্টক একচেঞ্জের মালিকানা ৬৫ ভাগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্লিয়ারিং এ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানি গঠন ও পরিচালনার চূড়ান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ মালিকানায় থাকতে পারবে। তবে মালিকানায় ব্যাংক থাকতে পারলেও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানিকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৯ মে ৬০৪তম কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বাজার সৃষ্টিকারী) বিধিমালা, ২০১৭ কিছু পরিবর্তন করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বিধিমালাটির খসড়া অনুমোদন হয় কমিশনের ৬০০তম সভায়। খসড়া বিধিমালায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট কোম্পানির মালিকানার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব হয়েছিল। গেজেটেড বিধিমালায় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার যৌথভাবে অথবা এককভাবে ধারণ করতে পারবে। তাছাড়া সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শেয়ার ব্যাংকগুলো যৌথভাবে ধারণ করতে পারবে। তবে এককভাবে কোনো ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। খসড়ায় ব্যাংকের সর্বোচ্চ শেয়ার ধারণে সীমা ছিল ১০ শতাংশ। তাছাড়া খসড়া বিধিমালায় ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির শেয়ার ধারণে সুযোগ থাকলেও চূড়ান্ত বিধিমালায় স্টেক হোল্ডারদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি ডিমিউচুয়ালাইজড আকারে গঠন করা হবে অর্থাৎ এর মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা থাকবে। এ কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০০ কোটি টাকা, যেটি খসড়ায় ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ডিএসই তাদের মতামতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। ক্লিয়ারিং এ্যান্ড সেটলমেন্ট কোম্পানির পর্ষদে ১৪ জন পরিচালক থাকবেন, খসড়ায় ১১ জন পরিচালকের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক; আগে ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক থাকার কথা বলা হয়েছিল। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে খসড়া বিধিমালায় দুজন পরিচালকের কথা বলা হলেও চূড়ান্ত বিধিমালায় তিনজনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ডিপোজিটরি থেকে একজন, ব্যাংক থেকে একজন এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে একজন পরিচালক মনোনীত হবেন। লভ্যাংশ পাঠিয়েছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সমাপ্ত হিসাব বছরের লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিও এ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক এ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের বোনাস লভ্যাংশ বিও এ্যাকাউন্টে গত ৭ জুনের মধ্যে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। একইসঙ্গে নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬ টাকা ৭৯ পয়সা।
×