ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মুক্তাগাছার ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলের আদেশ ১০ জুলাই

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২০ জুন ২০১৭

মুক্তাগাছার ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলের আদেশ ১০ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মোঃ আব্দুস সালামসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশনপক্ষ। অভিযোগ আমলে নেয়া হবে কিনা- সে বিষয়ে ১০ জুলাই আদেশ দেয়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শেখ মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানাসহ ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় এক মহিলা সাক্ষীর ক্যামেরা ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম, প্রসিকিউটর মুখলেসুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন ও গাজী এইচ এম তামিম উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নয় আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন মোঃ আব্দুস সালাম (৭৫), সুরুজ আলী ফকির (৬২), মোঃ জয়েনউদ্দিন (৬০), মোঃ আব্দুর রহিম ওরফে নুরু বিএসসি (৬৭), মোঃ জালাল উদ্দিন (৫৯) ও মোঃ রোস্তম আলী (৭০)। পলাতক তিনজন হলেন শমসের ফকির (৬৬), ফজলুল হক (৫৯) ও সামসুল হক (৭০)। প্রসিকিউটর আবুল কালাম জনকণ্ঠকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, লুট-তরাজ ও অগ্নি-সংযোগের ৮টি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন। এদিকে অভিযোগ দাখিলের সময় গ্রেফতারকৃত ছয় আসামিকেই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই নয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১৬ সালের ১৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে চলতি বছরের ২৯ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। নেত্রকোনার ৬ রাজাকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শেখ মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানাসহ ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় এক মহিলা সাক্ষীর জবানবন্দী প্রদান করেছেন। তার জবানবন্দী ক্যামেরা ট্রায়ালে গ্রহণ করা হয়। ক্যামেরা ট্রায়ালের নিয়ম অনুসারে প্রসিকিউটর ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়া অন্য কেই এজলাসকক্ষে থাকতে পারেন না। তাঁর জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলেন শেখ মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানা, মোঃ আব্দুল খালেক তালুকদার, মোঃ কবির খান, আব্দুর রহমান, আব্দুস সালাম বেগ ও নুরউদ্দিন ওরফে রদ্দিন। সাতজন আসামির অপরজন আহাম্মদ আলী গ্রেফতারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ছয় আসামির মধ্যে গত বছরের ১২ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আব্দুর রহমান। বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আটজন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর হত্যা, তিনটি বাড়ির মালামাল লুট, আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগ।
×