ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাকিল আহমেদ

ঘরের দেয়ালে ঈদের আমেজ

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৯ জুন ২০১৭

ঘরের দেয়ালে ঈদের আমেজ

আসছে ঈদ। চারদিকে চলছে প্রস্তুতি। গৃহিণীদের অন্দর সজ্জার প্রস্তুতি এর মধ্যে অন্যতম। বছরের অন্যতম সেরা উৎসব এই ঈদ উৎসব, আর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আসবেন আত্মীয়স্বজন এবং অতিথিগণ। কিভাবে সাজাবেন আপনার ঘর? আজ আমরা ঈদে অন্দর সজ্জা নিয়েই কথা বলব। দেয়াল সাজুক রঙে কত কল্পনা বুনি আমরা এই ঘরের দেয়ালে। কল্পনার রঙে দেয়াল সাজাতে আমাদের কার না ভাল লাগে। অল্প খরচে কিভাবে সাজাবেন আপনার অন্দরের দেয়াল? ওয়াল পেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন আপনার পুরনো দেয়াল। তবে পুরো ঘর ওয়াল পেপার দিয়ে ঢেকে দেয়াটা নিঃসন্দেহে ভাল কিছু হবে না। ঈদের আগে বসার ঘর, সামনের রুমের দেয়াল টেক্সচার কিংবা এম্বোস জাতীয় ওয়াল পেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন। অন্য রুমের দেয়ালে জ্যামিতিক নক্সা, ছোট ছোট নান্দনিক ফুল, হালকা রং কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ওয়াল পেপার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ছোট ঘরের জন্য হিজিবিজি ওয়াল পেপার এড়িয়ে যান। রান্না ঘর এবং খাবার ঘরে ওয়াল পেপার ব্যবহার না করাই ভাল। ঘরে ঢুকতেই যদি করিডর থাকে তবে করিডরের দেয়ালে মুখোশ বা ঝুলন্ত গাছ লাগাতে পারেন। আর দেয়ালে যদি ছবি থাকে তবে তার ওপরে “ট্র্যাক লাইট” দিয়ে আলো ফেললে অন্যরকম আবেদনের সৃষ্টি করে। কোথায় পাবেন এবং দরদাম রাজধানীর গুলশানে বাড়ির ফিটিংস পাওয়া যায় এমন দোকানে, হাতিরপুল, মহাখালীর উড়াল সেতুর নিচে কয়কটি দোকানে। ওয়াল পেপার বর্গফুট ও রোল হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রতি রোলের দাম ২০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে আর বর্গফুট হিসেবে দাম পরবে ১২ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত। অন্দরে আলোকসজ্জা অন্দরের আলোকসজ্জা মনে প্রশান্তির অন্যতম কারণ। অল্প খরচে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আপনার বাসা করে তুলতে পারেন শান্তিময় নীড়। প্রথমেই আসা যাক প্রবেশ পথে। প্রবেশ পথের রুচিশীল পরিবেশ অতিথির মনে জন্ম দেবে আপনার সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা। প্রবেশ পথে কম উজ্জ্বলতার এবং হালকা রঙের বাতি ব্যবহার করতে পারেন। এর দুই পাশের দেয়ালে চাইলে পেইন্টিং ঝুলাতে পারেন। পেইন্টিংয়ের ওপরে স্পটলাইট দিয়ে পেইন্টিংকে করতে পারেন আরও আবেদনময়। বসার ঘরে উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ঘরের এক কোণে ল্যাম্পশেড, কর্নার কেবিনেট এবং শোকেসগুলোতে ব্যবহার করতে পারেন কম উজ্জ্বলতার আলোক বাতি। অন্দর সাজুক জলে একটু ঠা-া জল শরীরে শীতল পরশ এনে দেয়। এই গরমে শহুরে নাগরিকরা চান একটু শীতল পরশ। তাই ঘরে রাখতে পারেন জলের ফোয়ারা কিংবা ছোট বড় মাটির কিংবা কাচের পাত্রে কিছুটা পানি। অন্দর সজ্জায় পানির এই আয়োজন ঘরকে রাখে শীতল। ঘরের এই জল সজ্জার রীতি বহু প্রাচীন, তবে এই জল সজ্জায় এখন যোগ হয়েছে কিছুটা শৈল্পিক প্রয়াস। মাটির বা কাচের পাত্রে পানি রেখে এতে ছিটিয়ে দিতে পারেন ফুলের পাপড়ি। কিংবা মাঝে দিতে পারেন একটা মোমের বাতিদান যা আপনার গৃহকে করে তুলবে আরও স্নিগ্ধ এবং মনোরম। তবে যে ঘরেই পানির পাত্র রাখুন না কেন খেয়াল রাখবেন সে ঘরটিতে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। নয় তো ঘরের দেয়াল স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আসবাবপত্রে ঈদের আমেজ ঈদে আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং বিত্তবান গৃহিণীদের আসবাবপত্রের দিকে নজরটা থাকে একটু বেশি। অনেকেই আসবাবপত্রে পরিবরতন আনতে চান। পরিবর্তনটা যে খুব বড় হতে হবে এমন নয়, আপনি চাইলে খুব হালকা কিছু পরিবর্তনেও আসবাবপত্রে আনতে পারেন ঈদের আমেজ। যেহেতু ঈদ গরমে সেহেতু আসবাবপত্রে রাখতে পারেন স্নিগ্ধতার আমেজ। সোফার কাভার, বিছানা চাদর, বালিশের কুশন, পর্দা ইত্যাদির কাপড় হতে পারে হালকা রঙের সুতি কাপড়। কুশন, বিছানা চাদর, পর্দা দেশী ঢঙের ব্লক প্রিন্ট, হাতের কাজ, বাটিক কিংবা কাটওয়ার্ক ইত্যাদির কিনতে পারেন। এতে ঘর বৈচিত্র্যময় যেমন হবে তেমনই সতেজ ভাবটাও থাকবে। কোথায় পাবেন এবং দরদাম নগরীর প্রায় সব শপিং কমপ্লেক্সেই কুশন, বিছানা চাদর, পর্দা ইত্যাদি পেতে পারেন। পর্দার দাম পড়বে ৬৫০ থেকে ২০০০ টাকা, কুশন কাভার ২০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং বিছানা চাদর পরবে ৬৫০ থেকে ২০,০০০ টাকার মতো।
×