ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চালের মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক কৃত্রিম সঙ্কট ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৯ জুন ২০১৭

চালের মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক কৃত্রিম সঙ্কট ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চালের মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক কৃত্রিম সঙ্কট বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন বাজেট পাস করা হবে না। প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পাস করার পর সবাই খুশি হবে। রবিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে থ্রি-ডি সেমিনার হলে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত বাজেটোত্তর সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের কল্যাণে সরকার সবকিছু করবে। ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়ে জাতীয় সংসদে এবং বাইরে আলোচনা হচ্ছে। বাজেট পাস হবার পর আর কোন আলোচনা থাকবে না। ভ্যাট এবং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে বাস্তবসম্মত হবে। জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় তা স্পষ্ট হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চালের মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক সঙ্কট। বাজারে চালের অভাব নেই। দেশে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির টেন্ডার আহ্বান করা হচ্ছে। চাল আমদানির ওপর ১০ ভাগ হারে আমদানি শুল্ক ছিল, দেশের কৃষকদের সুরক্ষার জন্য আরও ১৫ ভাগ শুল্কারোপ করা হয়েছে, যাতে দেশের কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পান। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই চাল সমস্যার সমাধান হবে। একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। আমরা চাল রফতানি করতে শুরু করেছি। দেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। এ উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। ভবিষ্যতেও দেশে কোন খাদ্য সঙ্কট হবে না। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে-বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কাজল। ৫ বছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ২০ শতাংশ করার দাবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ৫ বছরের জন্য রফতানিমুখী শিল্পে উৎসে কর বর্তমান হার থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইএবি আয়োজিত বাজেট ভাবনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বর্তমানে রফতানিমুখী শিল্প বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব বাজারে ধাপে ধাপে তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে কমেনি। এছাড়া ব্রেক্সিটের প্রভাব, ডলারে বিপরীতে টাকার অতি মূল্যায়ন, ইউরো ও রুবলের দরপতন, পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, পণ্যের দাম কমে যাওয়াসহ কয়েকটি কারণে পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই আগামী ৫ বছরের জন্য রফতানিমুখী শিল্পে উৎসে কর শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
×