ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় শিশুকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৯ জুন ২০১৭

পাবনায় শিশুকে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৮ জুন ॥ সুজানগর উপজেলার আল্লাদীপুর গ্রামে হাফিজুল ইসলাম (৮) নামের শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুলাল মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশু হাফিজুল আমিনপুর থানার আল্লাদীপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে। রবিবার ভোরে মাটিতে পুঁতে রাখা শিশুটির লাশ উদ্ধার ও জড়িত দুলাল মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। দুলাল একই গ্রামের করিম মল্লিকের ছেলে। আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল হুদা জানান, পাওনা টাকা নিয়ে রজব আলী ও দুলাল মল্লিকের মধ্যে বিরোধ চলছে। এরই জেরে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রজব আলীর শিশুসন্তান হাফিজুলকে একা পেয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে মারধর করে দুলাল মল্লিক ও তার ছেলে সেলিম মল্লিক। এতে মারা যায় শিশু হাফিজুল। অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুটির লাশ নিজের শয়নকক্ষে মাটিতে পুঁতে রাখে দুলাল মল্লিক। এদিকে বিকেল থেকে হাফিজুলকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে রবিবার ভোরে পুঁতে রাখা শিশুর লাশ তুলে বাড়ির বাইরে নিয়ে ফেলে দেয়ার সময় দুলাল মল্লিক ও তার স্ত্রীকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। এসময় তাদের ছেলে সেলিম মল্লিক পালিয়ে যায়। ভোলায় গৃহবধূ খুন নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, লালমোহন উপজেলায় লিমা (২২) নামে গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সকালে কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা গ্রাম থেকে পুলিশ নিহতের লাশ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা গ্রামের হতদরিদ্র মফিজুল ইসলামের মেয়ে লিমার সঙ্গে একই এলাকার কামালের ছেলে শাহীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাহীন লিমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাত বলে জানান লিমার পরিবার। রূপগঞ্জে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমি আক্তার (১৬) নামে গৃহবধূকে শ^াসরোধে হত্যা করেছে। স্বামী জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নববধূ সুমি আক্তার নগরপাড়া এলাকার সিরাজ ভুইয়ার মেয়ে। সুমি আক্তারের বাবা সিরাজ ভুইয়া জানান, তিনি মাটিকাটার শ্রমিক। অতিকষ্টে স্থানীয় মাদ্রাসায় মেয়ে সুমি আক্তারকে লেখাপড়া করিয়েছেন। ১১ মাস আগে পার্শ্ববর্তী ইছাখালী এলাকার মারফত আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া অপহরণ করে নিয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করে। এছাড়া জুয়েল মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক হিসেবে সিরাজ ভুইয়ার কাছে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে আসছে জুয়েল। এছাড়া কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ টাকাও নিয়েছে। ইদানীং আরও এক লাখ টাকা যৌতুক ও সুজকি কোম্পানির মোটরসাইকেলের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল জুয়েলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল না দিতে পারায় সুমি আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করত। শনিবার রাতে স্বামী জুয়েল মিয়া, শ্বশুর মারফত আলী, শাশুড়ি মিনারা, ভাসুর সোহেলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ^াসরোধে হত্যার পর সুমি আক্তারকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। মাদারীপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, যৌতুকের জন্য শারমিন আক্তার (২২) নামে গৃহবধূকে শ^াসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামের মোসলেম শরীফের ছেলে শহীদ শরীফের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী করকান্দি গ্রামের আজিজ গৌড়ার মেয়ে শারমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্বামী শহীদ শারমিনকে মারধর করত। শারমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় দেড় লাখ টাকা যৌতুকও দেয়া হয়। এরপর আরও যৌতুকের দাবিতে শনিবার রাতে শারমিনকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে শিবচর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী শহীদ শরীফ পলাতক। নিহত শারমিনের দুটি সন্তানও রয়েছে। দিনাজপুরে যুবক স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, হিলি সীমান্তবর্তী ধরন্দা গ্রামের আলী আকরব নামের ২৪ বছরের যুবকের লাশ ভারত সীমান্তবর্তী ডোবা থেকে রবিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক ধরন্দা গ্রামের আব্দুল হানিফ ম-লের ছেলে। সে গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার শরীরে আসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা জানায়, গত শুক্রবার রাতে সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে মালামাল আনতে ভারতে যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আলী আকবর। এরপর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সীমান্তবর্তী বিজিবির ৯নং পোস্টের পার্শ্ববর্তী ডোবায় আলি আকবরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দিলে পুলিশ এসে ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনদের দাবি, কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রেখেছে।
×