ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে গাছ কাটা আর তদন্ত চলছে একই সঙ্গে

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৯ জুন ২০১৭

মণিরামপুরে গাছ কাটা আর তদন্ত চলছে একই সঙ্গে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কখনও সড়কের ধারে নতুন বাড়ি, কখনও বিদ্যুত লাইন নির্মাণের দোহাই দিয়ে মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের মূল্যবান বড় বড় মেহগনি গাছের ডাল কেটে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। জেলা পরিষদের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের যোগসাজশে এ গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের দুই পাশে কয়েকশ মেহগনি, রোড শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। এ সড়কে চলছে বিদ্যুত লাইন নির্মাণের কাজ। এর ফলে কাটা পড়ছে বড় মেহগনি গাছের ডাল। এ সুযোগে অতিরিক্ত ডাল কেটে নিচ্ছে ওই চক্র। সরেজমিনে ওই সড়কে দেখা যায়, রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সামনে বিদ্যুত লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। একই সঙ্গে কতিপয় লোক গাছের ডাল কাটছে। গাছের ডাল কেন কাটা হচ্ছে? প্রশ্ন করতেই খোকন বললেন, তিনি জেলা পরিষদের লোক মোসলেম ও এম এ মঞ্জুর কথা মতো এখানে এসেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল এ খোকন কাঠ ব্যবসায়ী। তার বাড়ি জুড়ানপুর গ্রামে। এ সময় উপস্থিত জেলা পরিষদের মোসলেম জানান, গাছের ডাল কেটে অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য লেবার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এর আগে একই সড়কের কাশিপুর, তাহেরপুরসহ কয়েকটি স্থানে বড় মেহগনি গাছের একাংশ কেটে নেয়া হয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে মোসলেম বলেন, গাছের লগ অফিসে (মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো) আছে। পরে সেখানে গিয়ে গাছের লগের কোন হদিস মেলেনি। সেখানে আছে পুরাতন গাছের লগ-যার অধিকাংশে পচন ধরেছে। পরে জানা গেল সড়কের যত গাছের অংশ কাটা হয়েছেÑ তার প্রায় সবই বিক্রি করে দিয়েছেন মোসলেম। শুধু এই সড়কে নয়। সম্প্রতি যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও মণিরামপুর-ঢাকুরিয়া সড়ক হতে মোসলেমের উপস্থিতিতে তিন লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটা হয়। তাহেরপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে রফিক সংশ্লিষ্ট অফিসের মোসলেমের সহযোগিতায় সড়ক থেকে বড় বাবলা গাছ কেটে নেয়া হয়। এসব বিষয়ে মোসলেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জুর নির্দেশে গাছের লগ বিক্রি করে লেবার পেমেন্ট করার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি মঞ্জুর নির্দেশ ছাড়া এক পাও চলেন না। এ বিষয়ে এম এ মঞ্জু বলেন, কাউকে গাছের কোন অংশ বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়নি। এছাড়া সড়ক থেকে গাছ কাটার তদন্ত চলছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি) মাজেদুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×