ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনেই হতে পারে রুনির ঠিকানা

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৯ জুন ২০১৭

চীনেই হতে পারে রুনির ঠিকানা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ওয়েন রুনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে নতুন কোথাও ঠিকানা গড়ছেন বিশ্ব ফুটবলের এই অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। মূল কারণ বর্তমান কোচ জোশে মরিনহোর পরিকল্পনায় তার জায়গা নেই। কিভাবে আর থাকবেন ওল্ডট্র্যাফোর্ডে। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন প্রিমিয়ার লীগে। এর মধ্যে ১৫টিতে নেমেছেন শুরুর একাদশে। নয়বার বদলি হয়ে উঠে গেছেন। পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচে। ইউনাইটেডে তার অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের ক্যারিয়ারেও। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। অথচ ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দেয়া সর্বশেষ ইংল্যান্ড দলেও জায়গা মিলেনি ওয়েন রুনির। যে কারণেই ইউনাইটেড ছাড়ার সময় এসে গেছে। এবারের দলবদলে তার নতুন ঠিকানা খুঁজে নেয়ার বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত। কোথায় হবে রুনির নতুন ঠিকানা? চীনের ফুটবল থলেভর্তি টাকা নিয়ে ডাকছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুটি প্রস্তাব আছে ইউনাইটেডের অধিনায়কের। টাকার টানে রুনি কী দূরপ্রাচ্যে পাড়ি জমাবেন? সাংহাইয়ের কোম্পানি মেইলম্যানের কর্মকর্তা এ্যান্ডি স্ট্রং অবশ্য সেই ইঙ্গিতই দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলব এই মুহূর্তে আপনারা অনেক কিছুই দেখতে পারবেন...। আমি তো মনে করি, রুনিও চীনে আসতে পারেন।’ গুঞ্জন রয়েছে, চীনে গেলে তার সাপ্তাহিক বেতন হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। আর তার শৈশবের ক্লাব এভারটন রুনিকে সপ্তাহে দেড় লাখ পাউন্ড বেতনের প্রস্তাব দেবে। ইউনাইটেডের চেয়েও যা এক লাখ পাউন্ড কম। একদিকে চীনের অর্থ, আরেক দিকে ছোটবেলার ক্লাবে ফেরার আবেগÑ কোনটিকে বেছে নেবেন রুনি? রুনি অবশ্য এখনও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। চীনে পাড়ি জমালে ইংল্যান্ডের হয়ে আবার মাঠে নামার স্বপ্ন ফিকে হয়ে হবে। সবকিছু হিসেব করে তাই ইউনাইটেডের সঙ্গে ১৩ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলে আবার এভারটনের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে হবে রুনিকে। তাই তো সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে ম্যানইউ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাকে আসলে ফুটবলের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি এটাই করব। আমি শুধু দুটি ক্লাবের হয়ে খেলেছি। প্রিমিয়ার লীগে আমি এ দুটি ক্লাবের হয়েই খেলব।’ ম্যানচেস্টার শহর থেকে ৩১ মাইলের দূরের ক্লাব এভারটন। শৈশবের এই ক্লাবটি থেকে ২০০৪ সালে ২৫.৬ মিলিয়ন ট্রান্সফার ফিতে ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছরের নিচের কোন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এটি ছিল ট্রান্সফার ফির রেকর্ড। রুনির বয়স ছিল তখন ১৮ বছর। শৈশবের ক্লাবটি তাকে যদি আবার দলে টানেও চীনাদের মতো থলেভরা টাকা দিতে পারবে না।
×