ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৃতপ্রায় নৌপথগুলো সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৯ জুন ২০১৭

মৃতপ্রায় নৌপথগুলো সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ মৃতপ্রায় নৌপথগুলোকে সচল করার লক্ষ্যে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৩৬টি নৌপথ খননের কাজ চলমান আছে। রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। জবাবে মন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নৌ-টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত ৯০০ কিলোমিটার নৌপথে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। এছাড়া ১৪টি ল্যান্ডিং স্টেশন উন্নয়ন, ৬টি ভেসেল সাইক্লোন শেল্টার, ৬টি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ২টি কার্গো টার্মিনাল এবং ৩০০ কিলোমিটার নেভিগেশানাল এইড স্থাপন করা হবে। তিনি আরও জানান, দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নদী খননের লক্ষ্যে ১৪টি ড্রেজার কেনা হয়েছে। আরও ২০টি ড্রেজার কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারী দলের সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের লিখিত প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান সংসদে জানান, কক্সবাজার জেলার সেনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে জাপানের প্যাসিফিক কনসালট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) কর্তৃক টেকনো ইকোনমিক ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিসিআই কর্তৃক দাখিলকৃত সমীক্ষা প্রতিবেদনে সোনাদিয়ায় তিন ধাপে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করার পর তা বাস্তবায়নে পাঁচ বছর প্রয়োজন। দ্রুতই এই কাজ শুরু হবে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ যথাক্রমে ২০৩৫ সাল এবং ২০৫৫ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া জাইকা কর্তৃক মাতারবাড়িতে একটি বহুমুখী গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। স্বতন্ত্র সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার ও শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ আছে।
×