ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৮

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ জুন ২০১৭

তিন জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৮

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ও নেত্রকোনায় বজ্রপাতে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ফরিদপুরে মা, বাবা ও মেয়েসহ পাঁচজন, ঝিনাইদহে স্কুলছাত্র এবং নেত্রকোনায় দুইজন রয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরমঈনূট ঘাটসংলগ্ন মাথাভাঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে বজ্রপাতের ঘটনায় ৪ জন এবং সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেলে ১ জন নিহত হয়। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চরভদ্রাসনে একই পরিবারে তিনজন নিহত হয়েছে। তারা হলেনÑ বাবা শেখ আরজান (৪৫), মা আনোয়ারা বগম (৩৫) ও মেয়ে বিথী আক্তার (১৫)। এরা সবাই পাশের সদরপুর উপজেলার আকটের চর ইউনিয়নের কুপারাম গ্রামের বাসিন্দা। নিহত অপরজন চরভদ্রাসনের মাথাভাঙ্গা এলাকার জমির মোল্লার ছেলে বিল্লাল মোল্লা (৪০)। অপর জন নার্গিস আক্তার (২৪)। এলাকাবাসীরা জানায়, নিহতরা সকলে মাথাভাঙ্গা এলাকায় একটি বাদামক্ষেত থেকে বাদাম তুলছিল। এ সময় বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে একই পরিবারের তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। চরভদ্রাসন থানার ওসি রাম প্রসাদ ভক্ত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই দিন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষক মারা গেছেন। তারা হলেনÑ বলাইশিমুল ইউনিয়নের রাজাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (২৬) ও মোজাফরপুর ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে সাইদুল হক (৪৫)। এ সময় সাইদুল হকের একটি গরুও মারা যায়। জানা গেছে, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজাইল গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান স্থানীয় মুরোয়া হাওড়ে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। কেন্দুয়া থানার ওসি সিরাজুল হক ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রের মৃত্যু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়াদী গ্রামে বাঁওড়ে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে তুহিন হোসেন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় হলিধানী ইউনিয়নের সাগান্না বাঁওড়ে গোসল করতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তুহিন ওই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে ও রামচন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাগান্নার বাঁওড়ে গোসল করতে যায় তুহিন। সে সময় হালকা বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নীলফামারীতে আহত ১৮ স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী জানান, নীলফামারীর দুই উপজেলায় বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৮ জন আহত হয়েছে। রবিবার বিকেলে ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে ও ডোমার উপজেলা হাসপাতালে ৪ জনকে ভর্তি করা হয় এবং ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডিমলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাঃ মমতা বেগম জানান, বজ্রপাতে আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলো বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আম্বু মামুদ (৪৮) ও তার স্ত্রী বিউটি আক্তার (৪২), ছেলে আজাদ (১৭), উত্তর তিতপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে সাহিদা (২৭), দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের সুফিয়া (২৫), রিপা বেগম (৩৬), গোলাম মোস্তফার সাত বছরের শিশুপুত্র রাকিব, মৌসুমী (২৫), ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের মমিনুর রহমানের ছয় বছরের শিশুপুত্র আলিব, উদাস রায় (৩৫), বাবুল চন্দ্র রায় (৩০), মজিদা বেগম (৪৫), একই ইউনিয়নের সরদারহাট গ্রামের মৌসুমী (১৭), আর্জিনা বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।
×