ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

১৮০ রানে ভারতের শোচনীয় হার;###;মিথুন আশরাফ ॥ লন্ডন থেকে

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৯ জুন ২০১৭

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের

মোহাম্মদ আমির যে কী জিনিস, তা হাড়ে হাড়ে টের পেল ভারত। শুরুতেই যে দুই উইকেট শিকার করে নিলেন, তাতেই শেষ ভারত! তখনই যেন ম্যাচের নিয়তি গড়া হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত লন্ডনের কেনিংটন ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ১৮০ রানে হারে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় হারের লজ্জ্বা পায়। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মত এ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে পাকিস্তান। ফাখার জামানের ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর আমিরের (৩/১৬) বোলিং ত্রাসেই হেরে যায় ভারত। ফাখার জামান অসাধারণ ব্যাটিং করেন। তার ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসেই ভারতকে হারানোর ভীত তৈরী হয়। এরসঙ্গে আজহার আলীর ৫৯, মোহাম্মদ হাফিজের অপরাজিত ৫৭, বাবর আজমের ৪৬ ও ইমাদ ওয়াসিমের অপরাজিত ২৫ রান মিলে এমন একটা স্কোর (৪ উইকেটে ৫০ ওভারে ৩৩৮ রান) দাড় করিয়ে ফেলল পাকিস্তান, যা ভারতের সামনে কিছু নয় যারা ভেবেছেন; তারা বোকার স্বর্গেই বাস করেছেন। ভারত ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াতেই তো তা প্রমান হয়। এরআগে ভারতকে ২০০৫ সালে ১৫৯ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবার ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়টিই তুলে নিল। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ২০০৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ৫৪ রানে জেতার পর টুর্নামেন্টে এবার নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেল। এমনিতে পাকিস্তান বেশিরভাগ সময় ভারতের বিপক্ষে জিতলেও আইসিসির টুর্নামেন্টে জিতে না। এমন অপবাদ ছিল। বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরেছে। আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচ খেলে দুটিতে হেরেছে। দুটিতে জিতেছে। তাও ২০০৯ সালের পর আর জিততে পারেনি। সেই অপবাদ এবার ঘুচিয়ে নিল পাকিস্তান। তাও আবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ এতটাই শক্তিশালী যে কোন রানই তাদের সামনে পাহাড়সম নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি পাহাড়সম রান করে ফেলে, তাহলে কী সেই রান করা এতটাই সহজ! প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন যদি থাকে শক্ত। তাইতো হল। ফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান খেলা নিশ্চিত হতেই একটা বাজনা বেজেছিল। ভারতের ব্যাটিং বনাম পাকিস্তানের বোলিং। ভারত তো ম্যাচেই ছিল না। কী ব্যাটিং, আর কী বোলিং। বোলিংটা জঘন্য করার পর ব্যাটটাও তো ঠিকঠাকমত করতে পারল না। বোঝাই গেল, আইসিসির কোন ওয়ানডে টুর্নামেন্টে যে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মত ফাইনালে খেলতে নামল ভারত, এমন ম্যাচের চাপ নিতে পারল না। ¯œায়ুচাপে ভুগল। শুরুতেই রানের খাতা খোলার আগেই রোহিত শর্মা ও ৬ রানের সময় যে বিরাট কোহলি (৫) আউট হয়ে গেলেন, সেটিতো চাপ নিতে না পেরেই। ম্যাচের আগে যে আমিরকে নিয়ে একটি ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাতেই কাজ হয়ে গেল। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে ভারতকে যেন শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন আমির। সেরা দুই উইকেট হারিয়ে ভারতও খাদের কিনারায় পড়ে গেল। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। রানতো কম নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩২২ রানের টার্গেটে খেলে জেতার রেকর্ড আছে। এই টুর্নামেন্টেই ওভালেই ভারতের ৩২১ রান টপকে জিতে শ্রীলঙ্কা। সেটিই এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। ভারত কখনোই ২৮০ রানও অতিক্রম করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জিতেনি। ২০০২ সালে যে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ২৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জিতেছে, সেটিই ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বড় রান অতিক্রম করে জেতার রেকর্ড। তার মানে ভারতকে জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হত। প্রথমত ফাইনাল ম্যাচ। আবার পাকিস্তান এত রান ছুড়ে দিয়েছে। ভারত ব্যাটসম্যানদের চাপ চরমভাবে ঝেকে ধরে। জিততে হলে সেই চাপ নিয়েও ব্যাটিংটা সেইরকমই হতে হত। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এ টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান ও যুবরাজ সিং চেষ্টা করেন। কিন্তু আমিরতো এদিন নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিতেই বল হাতে নেন। তিনি কী তা হতে দেবেন। দিলেন না। স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান জমা হতেই, ধাওয়ানকে (২১) সাজঘরের পথ দেখালেন। এমনিতেই ম্যাচ জমবে বলে যে আশা করা হয়েছিল, তা ভেস্তে যায়। আবার এমন টপাটপ উইকেট পড়তে থাকলে কী আর ফাইনালটা ফাইনালের মত মনে হয়? এমন যখন আলোচনা। তখনই ধ্বস নামল। ৫৪ রান হতেই যুবরাজ সিং (২২) ও মহেন্দ্র সিং ধোনিও (৪) আউট হয়ে গেলেন। এ টুর্নামেন্টের বিস্ময় বলা চলে হাসান আলীকে। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন (১৩টি)। ধোনিকে সাজঘরে ফেরান তিনিই। যখন ধোনি আউট হয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখন ভারতের জিততে লাগে ২২০ বলে ২৮৫ রান। হাতে থাকে ৫ উইকেট। এই ম্যাচ কী আর জেতা সম্ভব। ক্রিকেটে নাটকীয়তা ঘটে। অঘটনও ঘটে। তাই বলে কী এবার ঘটবে? সেটাতো বোঝাই যায়, অঘটন ঘটার মত অবস্থা আছে। যখন ভারত দর্শকরাও বুঝতে পারেন, ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়; তারাও যেন স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যেতে থাকেন। যেতে যেতে বলতে থাকেন, ‘কী ম্যাচ দেখতে এলাম। আর কী দেখলাম। তাই বলে ভারত লড়াইও করবেনা!’ স্টেডিয়াম তখন পাকিস্তান দর্শকদের আওয়াজে কাঁপতে থাকে। আর পাকিস্তান দর্শকরা বলতে থাকেন, ‘মওকা, মওকা’। এই ‘মওকা, মওকা’ দিয়েই যে পাকিস্তানকে বারবার কাটা দেয় ভারত দর্শকরা। এবার উল্টো হয়ে গেল। বোঝাই যাচ্ছিল, ৫ উইকেট পড়ার পর বাকি সময়টা শুধু কখন খেলা শেষ হবে সেই অপেক্ষায় থাকা। তবে ভারতের যে দর্শকরা স্টেডিয়ামে ছিলেন, তারা হার্দিক পান্ডের ব্যাটিং দেখে খানিক আনন্দ পেয়েছেন। পান্ডে যে সাদাব খানের করা ২৩ ওভারের সময় টানা তিনটি ছক্কা হাকিয়েছেন, ফাখার জামানের করা ২৬ তম ওভারে টানা দুটি ছক্কা হাকিয়েছেন; তাতেই ভারত দর্শকরা তৃপ্তি খুজে নিয়েছেন। পান্ডেই তো হারের ব্যবধান কমালেন। নিজে আবার ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৫২ রানের সময় জাদেজার ভুলে রান আউট না হলে হয়ত পান্ডে খেলাটা আরও জমিয়ে দিতে পারতেন। পান্ডে খেলাটাকে একটা জায়গায় দাড় করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আরও তিনটি উইকেট দ্রুতই পড়ে যায়। আর ৬ রান যোগ হতেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। ভারতের ইনিংস শুরুর আগে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হতেই সবার ধারণা জন্মায়, কিছু একটা হতে চলেছে। মানে ভারত হারতে যাচ্ছে। পাকিস্তান প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সেই ভীতটা আসলে গড়ে দেন ফাখার জামান। প্রথমবার কোন টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেন। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। অভিষেক টুর্নামেন্টটি স্মরণীয় করে রাখলেন জামান। ব্যাট হাতে ভারত বোলারদের শাসন করলেন, তাতে পাকিস্তান শিরোপাই জিতে নিল। আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে প্রথমবার ভারত ও পাকিস্তান ফাইনালে মুখোমুখি হয়। এমন ম্যাচের নায়ক কে হবেন? এ প্রশ্ন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষ হতেই উঠেছে। সবার মুখে একটি নামই শোনা গেছে। সেই নাম-ফাখার জামান। ম্যাচ যে দলই জিতুক, জামানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই যে ম্যাচটিতে এত রোমাঞ্চ তৈরী হয়েছে। জামানের সেঞ্চুরি যে ম্যাচকে আকর্ষন করে তুলেছে। জামানের সেঞ্চুরিতে ভারতওতো বিপদে পড়েছে। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানও ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩৩৮ রান করেছে। তাই সব ‘ক্রেডিট’ জামানকেই দিয়েছে সবাই। তার ব্যাটিংয়ে শেষপর্যন্ত জিতলও পাকিস্তান। আজহার আলী ও ফাখার জামান মিলেই শুরুতে দলকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যান। দুইজন মিলে ২৩ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকেন। ১২৮ রানও স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলেন। এমন সময় আজহার (৫৯) রান আউট হয়ে যান। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আর ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে যে কত পার্থক্য, তা বুঝিয়ে দিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের কাছে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এসে দুই ওপেনারই ১২৮ রান করে ফেলেন। মনে হচ্ছিল, দুইজন মিলে আরও অনেকদুর এগিয়ে যাবেন। কিন্তু রবীচন্দ্রন অশ্বিনের করা ২৩তম ওভারের শেষ বলে স্কয়ার লেগে বল ঠেলে এক রান নিতে গিয়েই বিপত্তি আসে পাকিস্তানের। আজহার আউট হয়ে যান। ভারতও যেন ম্যাচে প্রাণ ফিরে পায়। কী অসাধারণ ব্যাটিং করলেন আজহার আলী ও ফাখার জামান। দুইজন মিলে ভারত ক্রিকেটারদের নাভিশ্বাস তুলে দিলেন। এমনই অবস্থা করলেন, একটি উইকেট পেতে হন্যে হয়ে চেষ্টা করলেন ভারত বোলাররা। কিন্তু কোনভাবেই সেই উইকেটটি নিতে পারছিলেন না বিরাট কোহলির দল। দুইজন মিলে ১০০ রানের জুটি গড়লেন। আবার ১২৫ রানও হয়ে গেল। আর ৩ রান হতেই জুটিটি ভাঙ্গল। ২০০৩ সালের পর টানা দুই ম্যাচে ১০০ রানের জুটিও হল। পাকিস্তান তা ১৪ বছর পর আবার করতে পারল। আজহার ও জামান মিলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে ১১৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। এবার ১২৮ রানের জুটি গড়লেন। আজহার আউটের পরও থেমে থাকেনি পাকিস্তান। এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে জামানই এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার সঙ্গে যোগ হন বাবর আজম। আজহার যখন আউট হন, তখন জামানের স্কোরবোর্ডে ছিল ৫৬ রান। সেখান থেকে দলকে ২০০ রানে নিয়ে যান জামান। বাবর আজমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন। পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যখন ২০০ রান যোগ হয়, তখন ১০৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রান করে আউট হন জামান। তখন ৩৩.১ ওভার চলে। বোঝাই যাচ্ছিল, আরও যে ১৭ ওভারের মত বাকি আছে; তাতে ৩৫০ রানও হয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান সেদিকেই এগিয়ে যায়। জামানের আউটের পর শোয়েব মালিক ও বাবর আজমও (৪৬) সাজঘরে ফেরেন। ততক্ষনেই পাকিস্তান ২৬৭ রান হয়ে যায়। এরপর মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমাদ ওয়াসিম এসেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। হাাফিজ হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষপর্যন্ত ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ইমাদ অপরাজিত ২৫ রান করেন। দুইজন মিলে ৭১ রানের জুটিও গড়েন। ভারত বোলাররা যেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেন। টস জিতে ভারত। টস জিতেই ফিল্ডিং নিয়ে ভারত অধিনায়ক কোহলি বলে দেন, ‘ভাল উইকেট। তবে কঠিনও। যেটুকু ঘাস আছে, তাতে আমাদের বোলাররা কিছু করতে পারবে। আমরা টার্গেট অতিক্রম করার চিন্তাই করছি। কন্ডিশন কোন বিষয় না। যদি ভাল ক্রিকেট খেলা যায়।’ ভারত বোলাররা আসলে কিছুই করতে পারলেন না। ব্যাটসম্যানরাও পারলেন না। কোহলি নিজেইতো কিছু করতে পারেননি। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ যে বলেছেন, ‘আমরা ৩০০ রানের বেশি করতে চাই। যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়, তখন আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। আজও (রবিবার) নেই।’ বোঝাই গেল, সরফরাজ ক্রিকেটারদেরও চাপহীন থাকার ঔষধ দিয়েছেন। আর তাতে কাজও হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা সরফরাজের কথামতোই কাজ করেছেন। ১০০, ২০০, ৩০০, ৩৩৮ রানও হয়ে গেছে। এরমধ্যে জামান একাই ১১৪ রান করেছেন। তিনিই তো লড়াই করার সাহস জুগিয়েছেন। তাতে ভারত বিপদেও পড়ে। এরপর যখন মোহাম্মদ আমির তার গতি আর সুইংয়ের যোগসুত্রে ভারত ব্যাটসম্যানদের শুরুতেই ঘায়েল করে দেন, তাতে ভারত হেরেই যায়। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরের শিরোপা জিতে নেয়।
×