ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ ব্রিজ ॥ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দায়িত্ব শেষ

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৮ জুন ২০১৭

টাঙ্গাইলে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ ব্রিজ ॥ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দায়িত্ব শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৭ জুন ॥ কালিহাতীর এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের ৮ ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। জানমালের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও সহসাই সমাধান হচ্ছে না। টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নক্সা তৈরি না হওয়ায় পুনরায় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দিতে পারছে না। সড়ক বিভাগের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীর জনগণ। তারা অভিযোগ করেছেন, টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সামনে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ও পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প পাঠিয়েই তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যান। কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর উপজেলা শহর পর্যন্ত ১২ ব্রিজের মধ্যে ৮টিই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজগুলো হলো- রাজাবাড়ী, শ্যামপুর, ফুলতলা, সয়া, নারান্দিয়া, সিংগুরিয়া, কাগমারীপাড়া ও শিয়ালকোল। এর মধ্যে সিংগুরিয়া ব্রিজের অর্ধেক অংশে বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে। ফুলতলা, শ্যামপুর, নারান্দিয়া এবং লুৎফর রহমান মতিন কলেজ সংলগ্ন রাজাবাড়ী ব্রিজ একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফুলতলা ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভাঙ্গা, শ্যামপুর ব্রিজের কয়েকটি স্টিলের পাটাতন উঠে গেছে, নারান্দিয়া এবং রাজাবাড়ী ব্রিজের মধ্যে গর্ত হয়ে গেছে। শিয়ালকোল ও কাগমারিপাড়া ব্রিজের অবস্থা একেবারে নাজুক। কিছুদিন পূর্বে সয়া ব্রিজটি ফাটল দেখা দিলে কয়েকদিন যান চলাচল বন্ধ থাকে। এখানে দায় সারাভাবে নিম্নমানের বেইলি ব্রিজ স্থাপন করার পরপরই আবার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো যে কোনটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ সড়কে বাস চালক হারুন মিয়া বলেন, ব্রিজগুলোতে উঠার সঙ্গে সঙ্গে জোরে ঝাঁকুনি দেয়। মনে হয় ব্রিজ এখনই ভেঙ্গে পড়ল। ঈদে অতিরিক্ত যানবাহনে চাপ এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো ধারণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে শংকিত এলাকাবাসী। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম নূর-ই-আলম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের অধিকাংশ ব্রিজই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ১০ ব্রিজ, একটি কালভার্ট পুনরায় নির্মাণ এবং ২২ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য ১১৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েকবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু সর্বশেষে প্রকল্পের যথার্থতা যাচাই এবং ব্রিজের নক্সা তৈরিকরণের জন্য ডিপিপি ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের যথার্থতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের নক্সা তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। ব্রিজের নক্সা প্রস্তুত হলেই আমরা আবার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাতে পারব। তারপর প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।
×