নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গুনিয়া, ১৭ জুন ॥ কর্ণফুলি নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। ফলে গত দুদিন ধরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নিষ্কাশনে সৃষ্ট বাধার মুখে গুমাইবিল এবং পার্শ¦বর্তী রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন ও চন্দ্রঘোনার বসতি এলাকার নিম্নঞ্চলে বিশাল জলাধার আকারে স্থির হয়ে পড়েছে। পূর্ববর্তী কয়েক দিনের ভারি বর্ষণজনিত কারণে ১৩ জুন পাহাড়ধস এবং বন্যার চরম দুর্যোগ দেখা দেয়। পাহাড় ধস ও বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত থামলে বন্যার পানি নেমে স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল। কিন্তু কর্ণফুলি নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এখন পানি সরে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অফিসের পরিসংখ্যান মতে, এবারের বন্যায় উপজেলার রাজানগর হোসনাবাদ, রাঙ্গুনিয়া, ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর, মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা, কদমতলী ইউনিয়নের ২ হাজার ৬ শ’ ৭৫ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজানগর, ইসলামপুর, হোসনাবাদ এবং চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নে পাহাড় ও দেয়াল ধসে এবং বন্যার পানিতে ভেসে প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ জনের। ৮০ গ্রামীর সড়কে বিক্ষিপ্তভাবে ধস এবং ভেঙ্গেচুড়ে ক্ষতি হয়েছে। মরিয়মনগর ডিসি সড়কের বিভিন্নস্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। এতে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। চন্দ্রঘোনা, কদমতলী ও মরিয়মগর ইউনিয়নের সংযোগ রাস্তায় কাটাখালী খালের ওপর গুরুত্বপূর্ণ সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে। ইছাখালী খালের দীর্ঘ গাইডওয়াল ধসে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার দক্ষিণঘাটচেক গ্রাম ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে। বন্যা এবং পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু সহায়তা মিললেও তা খুবই অপ্রতুল বলে এলাকাবাসী জানায়। জানা গেছে, ইউনিয়নের বগাবিলি বালুখালী এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত দুই পরিবারের মাঝে ২০ হাজার করে টাকা ও ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: