ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনাল স্মরণীয় করে রাখতে চান আজহার

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৮ জুন ২০১৭

ফাইনাল স্মরণীয় করে রাখতে চান আজহার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ ছয় ওয়ানডে ইনিংসে একটিমাত্র হাফ সেঞ্চুরি, বাকি চারটিতে রান ২৪, ৭, ৬ ও ৯। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আসরে আজহার আলির একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়েই তাই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। পাকিস্তানী ওপেনার জবাব দিয়েছেন মোক্ষম সময়ে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৭৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। আজহারের স্বপ্ন এখন আরও বড়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ফাইনালটাকে আজ স্মরণীয় করে রাখতে চান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দেশকে প্রথম শিরোপা উপহার দিতে জীবন বাজি রেখে লড়তে চান, ‘ভারতের কাছে ১২৪ রানের বড় হারের (গ্রুপ পর্বের প্রথম) পরও টিম-ম্যানেজমেন্ট যে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিল সে জন্য ধন্যবাদ। ওই ম্যাচের পরেরদিন টিম মিটিংয়ে কোচ আর ক্যাপ্টেনই আমাদের তাতিয়ে দিয়েছিলেন। পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে বলা হয়েছিল। আমরা সেটাই করেছি। আমি নিজে সেমিতে রান পেয়েছি। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালটাও স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ সেমিফাইনালে শক্তিধর ইংলিশদের বিপক্ষে অমন দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরাটাই অভিজ্ঞ ওপেনারকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে, ‘নিজের ব্যাটিংয়ে আমি বরাবরই ফোকাস্ড। পাকিস্তানের হয়ে খেলাটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের। আর দেশের হয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ নেয়াটা আমার কর্তব্য। এভাবেই নিজেকে মোটিভেট করি। সেমির ইনিংসটা আমাকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।’ ইংলিশদের বিপক্ষে পাকিস্তান মোটেই ফেবারিট ছিল না। ২১১ রান চেজ করতে গিয়ে শুরুতে ব্যাট করতেও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের বড় জয়ে ইতিহাস গড়ে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো উঠে আসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। আজহার আরও যোগ করেন, ‘কার্ডিফে সেদিন বড় রান তোলার মতো উইকেট ছিল না। শুরুতে আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করে। ইংল্যান্ডকে কম রানে আউট করা সহজ ছিল না। শুধু বোলাররা নয়, ফিল্ডাররাও নিজেদের সেরাটা দিয়েছিল সেদিন। ফাইনালে আমাদের এই দুটি বিষয় ধরে রাখতে হবে।’ পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যের অন্যতম কারিগর হাসান আলি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তরুণ এই পেসার আসরের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট শিকারি। টানা তিন ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়ে দুটিতেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। ফাইনালে তার ওপর বিশেষ দৃষ্টি থাকবে। ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। পাকিস্তানকে শিরোপা জেতাতে পারলে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি জানি টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হওয়ার সুযোগ আমার সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সফল হলে ভারতের বিপক্ষে কেন নয়? আমি আমার নিজের শক্তির জায়গায় বল করতে চাই। বোলিং কোচ আজহার ভাই (সাবেক অলরাউন্ডার আজহার আলি) আমাকে সেটাই বলেছেন।’ অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত বল করে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষ পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। সেমিফাইনালসহ শেষ দুই ম্যাচে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। নিজের সেরা অস্ত্র রিভার্স সুইং বলে জানিয়েছেন বুমরাহ, ‘এখানে রিভার্স সুইংটা খুব ভাল পাচ্ছি। বিশেষ করে ইনিংসের শেষদিকে। তাছাড়া আপনি যখন ছন্দে থাকেন তখন কোনও সমস্যা হয় না। আর টিমের সাফল্যে আপনিও অবদান রাখতে পারেন, আমার লক্ষ্য সেটাই।’
×