ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাতে চার শিশুসহ আট জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১৮ জুন ২০১৭

বজ্রপাতে চার শিশুসহ আট জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ চার জেলায় বজ্রপাতে চার শিশুসহ মৃত্যু হয়েছে আট জনের। এর মধ্যে নরসিংদীতে ২, সিলেটে ৩, হবিগঞ্জে এক এবং যশোরে ভাইবোন মারা গেছে। শনিবার বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। নরসিংদীতে বজ্রপাতে সমীর মিয়া নামে নৌকার মাঝি ও এক অজ্ঞাত মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে । শনিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর মেঘনায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, বাজার ঘাট থেকে বি.বাড়িয়া জেলাধীন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি যাবার পথে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে ২ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় স্বজনরা নৌকার মাঝি সমীর মিয়ার লাশ শনাক্ত করে। তবে মাছ ব্যবসায়ীর পরিচয় মেলেনি। সিলেট ॥ সিলেটে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলার শ্রীনাথপুরে বজ্রপাতে আব্দুল আহাদ (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে অবস্থিত হাওড়ে হাঁস চরাতে গেলে সেখানে আকস্মিক বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের নেগাল গ্রামে দুুপুর ১টায় বজ্রপাতে আব্দুল আলীর ছেলে অপু আহমদ (১২) নিহত হয়েছেন। জানা যায়, ঘরের বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বজ্রপাতে সে আহত হয়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে কোম্পানিগঞ্জের দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের হিংড়া হাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে কামরুল ইসলাম (১৪) বজ্রপাতে নিহত হয়। হবিগঞ্জ ॥ উপজেলা নবীগঞ্জের বড় বাকৈরে বজ্রপাতে শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আবু ছালেক (৮) নামে এক শিশু নিহত এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। নিহত শিশু ওই ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের জনৈক হাফিজুর রহমানের পুত্র। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই শিশুটি রাস্তা দিয়ে অন্যত্র যাওয়ার সময় বজ্রপাতের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যশোর ॥ শার্শার পশ্চিম কোটা গ্রামে বজ্রপাতে একই পরিবারের ভাই ও বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধা সাতটার সময়। জানা যায়, শার্শার পশ্চিম কোটা গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে সফুরা খাতুন (২৭)এবং ছেলে মাসুদ (১৫) ইফতারের পর বাড়ির বারান্দায় বসেছিল। তখন বাইরে প্রচ-বেগে ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে দুজনেরই মৃত্যু ঘটে। একই পরিবারের ভাই-বোনের অকালমৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
×