ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ ভাগ মহাসড়ক বেহাল ;###;২২ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন ;###;হাটবাজার, অবৈধ টার্মিনাল ও দখল উচ্ছেদ হয়নি

যানজটে তিন থেকে আট ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে ॥ মহাসড়কে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ জুন ২০১৭

যানজটে তিন থেকে আট ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে ॥ মহাসড়কে ভোগান্তি

রাজন ভট্টাচার্য ॥ বাড়তি গাড়ির চাপ, সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া, বাজার ও টার্মিনালের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে ঈদের আগেই যানজট শুরু হয়েছে। এসব সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল। অথচ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মহাসড়কে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত বাইকসহ অযান্ত্রিক ও স্বল্পগতির সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে এ বছর দেশের ২৫ ভাগ মহাসড়ক ভাঙাচোরা বলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ঈদের এক সপ্তাহ আগে দেশের সকল সড়ক মেরামতের নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ইতোমধ্যে চার লেন করা হলেও তদারকির অভাবে সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা। বিষয়টি সবার মধ্যে ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে তা আগে থেকেই অনেকটা আঁচ করা যাচ্ছিল। এর কারণ হিসেবে পরিবহন মালিকরা বলছেন, চার লেনের কাজ শুরু হয়েছে এ মহাসড়কে। কাজ শেষ না হওয়ায় অপ্রশস্ত সড়কের কারণে যানজট দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ দুই ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৪ ঘণ্টা। চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগছে অন্তত আট থেকে ১০ ঘণ্টা। পাবনা-সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যেতে সময় লাগছে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা বেশি। ঢাকা-সিলেট যেতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অন্তত তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা বেশি ব্যয় হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন মালিক শ্রমিকরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এ বছর সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের চেয়ে তুলনামূলক ভাল। তবে ধারাবাহিক বৃষ্টি হলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে। এখন বৃষ্টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। চার লেনের কাজ হওয়ার কারণে ভুলতা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, এ কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। অনেক সময় বড় আকারের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কের তিন ভাগের দুই ভাগ বন্ধ। কোথাও বাজার, কোথাও অবৈধ টার্মিনাল করা হয়েছে। রয়েছে হাট-বাজারের চাপ। এ কারণে দুই ঘণ্টার সময় পাড়ি দিতে সময় লাগছে চার ঘণ্টার বেশি। সিলেট রুটে টঙ্গী, মীরেরবাজার, কালীগঞ্জ অংশের রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল। এ কারণে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনির আখড়া থেকে কাঁচপুরসহ অন্তত ছয়টি পয়েন্টে যানজট হচ্ছে। সায়েদাবাদ বাস-টার্মিনাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী তিশা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৭টায় সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস কুমিল্লা পৌঁছতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে ওই বাসটি কাঁচপুর ব্রিজ পার হতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। সুতরাং এবার ভোগান্তির কি অবস্থা হবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন, বৃষ্টি বাদলের জন্য এবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। তারা বলছেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘোড়াশাল অংশ একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে। আবার নরসিংদীর গাউছিয়া অংশে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কারণে যানজট লেগেই আছে। ২৫ ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) অধীনে সারাদেশে জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৮৯২ কিলোমিটার। অধিদফতরের এইচডিএম-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে ১ হাজার ৯৭৭ কিলোমিটার বা ৫৪ শতাংশ মহাসড়কের অবস্থা ভাল। মোটামুটি অবস্থায় রয়েছে ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাকি ২০ দশমিক ২১ শতাংশের অবস্থা বেহাল। ৪ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে ৪২ দশমিক ৮২ শতাংশ মহাসড়কের অবস্থা ভাল। ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ ভাঙাচোরা। বাকি প্রায় ১৭০ কিলোমিটার মহাসড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবেদন তৈরির পর অনেক সড়কই মেরামত করা হয়েছে। অনেকাংশে মেরামতের কাজ চলছে। আবার এরই মধ্যে টানা বৃষ্টিতে নতুন করে অনেক সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। ঈদের আগেই সব সড়ক মেরামত হয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী হওয়ার কথা। এইচডিএম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশের সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে চলতি অর্থবছরেই প্রয়োজন ১২ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তবে ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সংস্কার করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাজীপুর থেকে ভোগান্তি রাজধানী ঢাকা থেকে অন্তত ২৩টি জেলার যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন টাঙ্গাইল সড়ক দিয়ে। যানজটের দিক বিবেচনায় এ সড়কটি বিষফোঁড়া হিসেবে খ্যাত। প্রতিবছরেই ঈদে ঘরমুখো মানুষকে যানজটের কবলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে এ যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সমস্যা সমাধানে কিছু উদ্যোগও নিতে দেখা গেছে। কিছু কাজও হয়েছে। বাকি কাজ চলমান। তবে দৃশ্যমান কোন উন্নতি চোখে পড়ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ পথের ভোগান্তির মূল জায়গা এখন গাজীপুর-টাঙ্গাইল অংশ। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে ভোগরা পর্যন্ত যানজট হচ্ছে প্রতিদিনই। মহাসড়কের এ অংশে চলছে চার লেনের কাজ। স্থানে স্থানে সড়কের দুই পাশের মাটি সরিয়ে নেয়া, মাটির স্তূপ, নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রপাতির কারণে সড়ক সংকুচিত হয়েছে। আছে খানাখন্দও। এতে করে এখনই এ পথে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহন চালকেরা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের ২৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ এবং চার লেনের উন্নয়ন কাজের জন্য সৃষ্ট ধীরগতির কারণে এবারও ঈদের যাত্রায় দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া বাড়তি পরিবহনের চাপ, অবৈধ হাটবাজারসহ রাস্তার ওপর পরিবহন পার্কিংয়ের নামে জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দগুলোর সংস্কার কাজ চলছে। ঢাকা-বগুড়া রুটের হানিফ পরিবহনের চালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ মুহূর্তে যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছেÑ খানাখন্দ ও রাস্তার উন্নয়ন কাজ। কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হলেও দু-একদিন পর সড়কে আগের অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই চালক জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, সফিপুর বাজার, পল্লীবিদ্যুত, চন্দ্রা, তিন রাস্তার মোড় ও কালিয়াকৈরের সাহেববাজার এলাকায়ও মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা। ভুক্তভোগীরা জানান, কয়েক দিনে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত বাসে যেতে সময় লাগছে ৮-৯ ঘণ্টা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট কেন? চার লেনে উন্নীত হওয়ার পরও অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ বলে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুফল মিলছে না। প্রতিবছরই ঈদ এলে এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মহাসড়কের অনেক অংশই ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে। মহাসড়কের ওপরে তৈরি করা হয়েছে বাস, টেম্পো, অটোরিক্সা স্ট্যান্ডসহ দোকানপাট। সেগুলোর কারণেও যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এ মহাসড়কের বিষফোঁড়া হলোÑ কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু। এ তিনটি সেতুতে ওঠানামা করার সময় যত সব অনিয়ম করায় চার লেনের সুফল মিলছে না বলে অনেকেরই অভিযোগ। শুক্রবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো কাঁচপুর সেতু পার হতেই লেগেছে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। আবার মেঘনা ও গোমতী সেতু পার হতে লেগেছে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা। এতে করে ঢাকা থেকে যেখানে চার ঘণ্টায় ৬ চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা সেখানে ৭ ঘণ্টা লেগেছে দাউদকান্দি পর্যন্ত যেতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকার অংশে যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ৮ লেন। ইতোমধ্যে এ ৮ লেনের ২ লেন বেদখল হয়ে গেছে। যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের কারণেও এ ৮ লেনের সুবিধা মিলছে না। সিলেটগামী আট কিলোমিটার সড়ক নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটের কাছে ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণযজ্ঞ, সড়ক সরু হয়ে যাওয়া এবং যানবাহনের চাপে তীব্র যানজট এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। যা আসন্ন ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাতায়াত কঠিন করে তুলেছে মাত্র চার কিলোমিটার অংশ। এর মধ্যে এক কিলোমিটার পথ হচ্ছেÑ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত। বাকি তিন কিলোমিটার দুর্ভোগের নাম নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেট এলাকা। যানজট, খানাখন্দ আর সড়কের ওপর নির্মাণযজ্ঞের ফলে এ পথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ভুলতার গাউছিয়া মার্কেটের কাছে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলছে দুই বছর ধরে। এতে গাউছিয়া মার্কেটের আগে-পরের ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওঠার জন্য মহাখালী থেকে টঙ্গী-ঘোড়াশাল হয়ে আরেকটি সরু সড়ক আছে, যেটি নরসিংদীর পাঁচদোনায় গিয়ে মহাসড়কে মিশেছে। ওই সড়কেরও কিছু স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট পথে দৈনিক প্রায় ৫ শতাধিক বাস চলাচল করে। ঈদযাত্রায় তা আরও বেড়ে যায়। ব্যবস্থাপনার অভাবে ভোগান্তি ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের মূল ভোগান্তি শুরু টঙ্গী ব্রিজ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত। এনা, শাহজালাল, সৌখিনসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, টঙ্গী ব্রিজ থেকে রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য হাটবাজার বসেছে। ঈদ সামনে রেখে বাজারের বিস্তৃতি আরও বেশি। এতে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে ওয়াগনসহ বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। গাজীপুর চৌরাস্তায় অরাজগতার মাত্রা বহুমাত্রিক। একদিকে চারপাশজুড়ে বাজার, অন্যদিকে সিটি সার্ভিসগুলো যাত্রী ওঠানো, পার্কিং সমস্যা তো রয়েছেই। চৌরাস্তার সামনে হাইস্কুলের সামনে তিন লেন সড়ক দখল করে বাসস্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। এখানে দুই শতাধিক থ্রি হুইলার, অটোরিক্সাসহ মিনিবাসের কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আন্তঃজেলা রুটের বাসগুলো ইচ্ছেমতো যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এ নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। পরিবহন মালিক ও পুলিশ সদস্যরা বলছেন, মূলত ব্যবস্থাপনার অভাবে টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে ২ ঘণ্টারও বেশি। এরপর মাওনা, সিডস্টোর, ত্রিশালসহ সড়কের দু’পাশে অন্তত ২০টি বাজার রয়েছে। আছে অবৈধ পরিবহন টার্মিনালও। সড়কের দ্ইু পাশে আছে বিভিন্ন গার্মেন্টসের পণ্যবাহী পরিবহন। সব মিলিয়ে স্বস্তিতে নেই ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
×