ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৮ জুন ২০১৭

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ১৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। একইসঙ্গে কমেছে সব ধরনের সূচক। তবে সূচক কমলেও জুন ক্লোজিংয়ের বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের বেশি আগ্রহ ছিল। যার কারণে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাতটি। সূত্র মতে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল বস্ত্র খাতের। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফার্মাসিউটিক্যালস খাত। লেনদেনে এ খাতের অংশ ছিল ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ২ শতাংশ ছিল এ খাতের। চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুত খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল এ খাতের। এছাড়া আর্থিক খাতের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, খাদ্য খাতের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বিবিধি খাতের ৪ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডে খাতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, টেলিকম খাতে ১ দশমিক ৭ শতাংশ, সেবা খাতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ, সিমেন্ট ও ট্যানারি খাতে ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। আর সাধারণ বীমা খাতে ছিল দশমিক ৭ শতাংশ, ভ্রমণ খাতে ৬ শতাংশ, সিরামিকে খাতে দশমিক ৫ শতাংশ, জীবন বীমা খাতে দশমিক ৩ শতাংশ, পেপার খাতে দশমিক ২ শতাংশ ও জুট খাতে দশমিক ২ শতাংশ। সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ লেনদেন কমেছে। অন্যদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৭ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। আর ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। আর ডিএসই শরিয়াহসূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৬ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৮৪৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ছিল ৯১ দশমিক ৮০ শতাংশ; বি ক্যাটাগরির ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ; এন ক্যাটাগরির ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং জেট ক্যাটাগরির ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে মোট ৩৩৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে ১৩৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির এবং লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৫ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ২৮ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৪.৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬.৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৫.৭ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৩.১ পয়েন্টে, সাধারণ বীমা খাতে ১২.১ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬.১ পয়েন্টে। এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ২০.৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৬ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২০.৬ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ৩৪.৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৪ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯.১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৬.৫ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৩.৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বিডি ফাইন্যান্স, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, মবিল যমুনা, আর্গন ডেনিম, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, সেন্ট্রাল ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা ও ইফাদ অটো। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফাইন ফুড, আইসিবি এএমসিএল ২য় মিউচুয়াল ফান্ড, ইউসিবি, এইচআর টেক্সটাইল, এশিয়া প্যাসিফিক, এলআরগ্লোবাল মিউচয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল টি, তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ ও আমরা টেকনোলজি। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : পূরবী জেনারেল, ফার্স্ট ফাইনান্স, এবি ব্যাংক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ইয়াকিন পলিমার, এসএমইএল মিউচুয়াল ফান্ড, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, নদার্ন জেনারেল, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ও ডেল্টা স্পিনার্স।
×