ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হেলমুট কোলের প্রশংসায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৮ জুন ২০১৭

হেলমুট কোলের প্রশংসায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সকলে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভক্ত জার্মানি ও ইউরোপীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম স্থপতি হেলমুট শুক্রবার জার্মানির রাইনল্যান্ড প্রদেশের লুদভিগহাফেন শহরে নিজ বাসভবনে মারা যান। ৮৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। ১৯৩০ সালে তার জন্ম হয়েছিল এই শহরেই। তার বাবা ছিলেন একজন রাজস্ব কর্মকর্তা। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর হেলমুট জার্মান চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। নব্বই পরবর্তী সারা বিশ্বে হেলমুটকে দুই জার্মানি পুনরেকত্রীকরণের চ্যান্সেলর বলে অভিহিত করা হতো। খবর সিনহুয়ার। ঐক্যবদ্ধ জার্মানির অন্যতম কারিগর হেলমুট কোল ১৯৯০ সালে বলেছিলেন, আমরা পূর্বাঞ্চলে পরিস্ফুটিত অর্থনীতি গড়ে তুলব। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি এত সহজ ছিল না, তারপরও হেলমুট ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সংস্কারকে যথেষ্ট এগিয়ে নিয়েছিলেন। জার্মান ঐক্যের অনেক আগে থেকেই হেলমুট ও ফরাসী নেতা ফ্রান্সিস মিতেঁরা পুরোধা হয়ে ইউরোপীয় জাতিগুলোর সমন্বয় এবং একটি সমন্বিত ইউরোপীয় অর্থনীতি গড়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন। হেলমুট কোলের মৃত্যুতে জার্মান ও বিশ্ব রাজনীতিকরা তাদের প্রতিক্রিয়াতে বলেছেন, জার্মান তথা ইউরোপীয় ঐক্যের এই অন্যতম নেতা বিশ্ব রাজনীতিতে চির অ¤œান থাকবেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, ‘হেলমুট যুদ্ধকে ঘৃণা করতেন।’ তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তবে তিনি একচ্ছত্রবাদকে আরও বেশি ঘৃণা করতেন।’ ট্রাম্পের দেনার পরিমাণ প্রায় ৩২ কোটি ডলার জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ঋণদাতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অন্ততপক্ষে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পাওনা বলে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্পদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারের এথিকস দপ্তর। এতে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশ করা ৯৮ পৃষ্ঠার ওই নথিগুলো এথিকস দফতরের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে। -ওয়েবসাইট বন্যা ও ভূমিধসে নাইজার এবং আইভরিকোস্টে নিহত ২৫ চলতি সপ্তাহে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বাড়ি ধসে নাইজারে অন্তত ১৪ জন ও আইভরিকোস্টে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাইজারে নিহতদের অধিকাংশই শিশু। শুক্রবার জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা একথা জানান। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচএ জানায়, নাইজারের রাজধানী নাইমেইতে ভবন ধসে ১৪ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছে। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর এএফপির। এদিকে আইভরিকোস্টের বাণিজ্যিক রাজধানী আবিদজানে শুক্রবার বৃষ্টিপাতের কারণে মৃতের সংখ্যা আট থেকে বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখানে একজন নিখোঁজ এবং ভূমিধস ও বন্যায় কয়েকশ’ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকায় বর্ষা মৌসুম তিন থেকে চারমাস স্থায়ী থাকে। এ সময় আবিদজানের পার্বত্যাঞ্চলে প্রায়ই প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
×