ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তাকে নিয়ে লেখা অপেরা দেখে ফিরে পান সাহস, অনুপ্রেরণা

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৮ জুন ২০১৭

তাকে নিয়ে লেখা অপেরা দেখে ফিরে পান সাহস, অনুপ্রেরণা

পাকিস্তানের মুখতার মাই গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ১৫ বছর পর তার ঘটনা নিয়ে লেখা একটি মার্কিন অপেরা দেখার পর ওই বর্বরতা নতুন করে ভেসে ওঠে তার মনে। অন্যদিকে ফিরে পান তিনি সাহস ও অনুপ্রেরণা। মাই তার গ্রামে স্থানীয় এক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে চরমভাবে ধর্ষিতা হন ১৫ বছর আগে। মুখতার মাই (৩৭) লস এ্যাঞ্জেলেসে ‘থামপ্রিন্ট’-এর উদ্বোধনী শো দেখার পর বলেছেন, আমি প্রথম যখন নাটকটি দেখা শুরু করি খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এবং ঘটনা নতুন করে শুরু হয়ে যায় আমার মধ্যে। কিন্তু তারপর নাটক অগ্রসর হতে থাকলে তা দেখতে কিছুটা সহজ হয়ে যাই এবং আমি ফিরে পাই আরও সাহস। তিনি উর্দু ভাষায় দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলছিলেন। কমলা শক্ররম ও সুসান ইয়ানকোয়িজের লেখা অপেরায় মাইয়ের ২০০২ সালে ধর্ষিতা হওয়ার ঘটনা এবং ধর্ষণকারীদের প্রতি তার চ্যালেঞ্জ ও আদালতে তাদের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক পাকিস্তানে এ ধরনের উদ্যোগ বিরল ঘটনা। দেশটিতে এ ধরনের অপরাধের শিকার হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যাকে বেছে নেয়। থামপ্রিন্ট প্রথম মঞ্চস্থ হয় ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে। কিন্তু মাই তা কখনও দেখেননি। তিনি এ সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার গ্রাম মীরওয়ালারি বাড়ি থেকে ওয়েস্ট কোস্ট যান এ অপেরা দেখতে। নাটক শেষে দেখা যায়, ধর্ষকরা মৃত্যুদ-ে দ-িত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষকরা অবাধে বিচরণ করছে। আপীলে মৃত্যুদ- বাতিল করা হলে তারা সম্পূর্ণভাবে শাস্তিমুক্ত হয়ে দৈনন্দিন জীবন যাপন করছে। মাইকে ধর্ষণ করা হয় গ্রাম পরিষদের রায়ের ভিত্তিতে। গ্রামে এক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর পরিবারের এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় মাইয়ের ১২ বছর বয়সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শাস্তিস্বরূপ মাইকে ধর্ষণের রায় দেয় গ্রাম পরিষদ। মাই বলেন, ধর্ষণকারীরা আমার বাড়ির উল্টো দিকে থাকে। আমি তাদের সঙ্গে রাস্তা পার হতে চেষ্টা করি না। আমি হেঁটে গেলে তারা আমাকে উপহাস করে। শিষ দেয়। মাই তার মামলা থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য পাওয়া অর্থ দিয়ে তার গ্রামে স্কুল ও একটি নারী আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছেন। -এএফপি
×