স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বাগতিক ইংল্যান্ড ছিল হট-ফেবারিট। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচের সবকটি জিতে ইয়ন মরগাদের শুরুটাও ছিল আশা জাগানিয়া। সেই তাদেরই উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান। শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। সরফরাজ আহমেদের দল ফাইনালেও দুর্দান্ত নৈপুণ্যের এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদী সাবেক তারকা শহীদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তানের শিরোপা জয়ের ভাল সুযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষ ভারত শক্তিশালী, তারাও ভাল খেলেই ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু এবার বড় আসরের বড় ম্যাচ। সরফরাজদের উদ্দেশে বলছি, শান্ত থাক, আর ম্যাচের দিকে নিজেদের ফোকাস ধরে রাখ। তাহলেই কেবল শিরোপা জিততে পারবে।’
তুখোড় পাকিস্তানী অলরাউন্ডার আরও জানান, ‘এ পর্যায়ে আমাদের দলটা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার মতো ফেবারিট দলকে হারিয়ে পাকিস্তান এটা অর্জন করেছে। প্রথম ম্যাচ হারের পরও যেভাবে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই প্রশংসা করার মত। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজয়ের পর সরফরাজদের এমন পুনর্জাগরণ ও কমিটমেন্টে প্রকৃত অর্থেই আমি গর্বিত। পজিটিভ এ্যাপ্রোচ নিয়েই ভারতের মুখোমুখি হবে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা বয়সভিত্তিক। আমাদের শক্তির জায়গা ডেথ ওভারের বোলিং। আর ফিল্ডারদের কাছ থেকে সহায়তা পেলে বোলিং বিভাগ অনেক বেশি ভাল করবে।’ আফ্রিদি বলেন, ‘ফাইনালে পাকিস্তানকে অবশ্যই নির্ভার থাকতে হবে এবং ম্যাচটা উপভোগ করতে হবে। ভিন্ন কিছু চিন্তা করার দরকার নেই। ছোট ছোট সমস্যা সমাধান এবং সেরা একাদশের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি নজর দেয়া উচিত। একটা জাদুকরী মুহূর্ত থেকে আমরা এক ম্যাচ দূরে। ক্রিকেটারদের বলছি, ভক্ত-সমর্থক সকলের জন্য শিরোপাটা এনে দাও।’
কার্ডিফের প্রথম সেমিফাইনালে পেসার হাসান আলীর ৩ উইকেটের কল্যাণে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২১১ রানে। জবাবে পাকিস্তান ৭৭ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। অধিনায়ক সরফরাজ বলেন, ‘এই সাফল্য আমাকে যেমন আনন্দ দিয়েছে তেমন গর্বিতও করেছে। গোটা পাকিস্তান জাতিই এখন গর্বিত। আমরা এমন একটি দল যেটিকে নিয়ে কারও কোন প্রত্যাশা ছিল না। কি ঘরে কি বাইরে, কেউ আস্থা রাখতে পারছিল না। কেউই ভাবেনি আমরা ফাইনাল খেলব।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: