ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে এবার মাঝারি বর্ষণেও জলাবদ্ধতা, জনজীবনে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৭ জুন ২০১৭

চট্টগ্রামে এবার মাঝারি বর্ষণেও জলাবদ্ধতা, জনজীবনে দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভারি বর্ষণের পর এবার মাঝারি বর্ষণেও ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকাগুলো। শুক্রবার সকালে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। খুব প্রবল বর্ষণ নয়, এ ছিল মাঝারি ধরনের। কিন্তু এতেই তলিয়ে যায় নগরীর অনেক এলাকা। ভোগান্তির মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ। যানবাহন চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল উঁচু সড়কগুলোতে। নিচু রাস্তাগুলো ছিল পানিতে থৈ থৈ অবস্থা। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকে। বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে চলছে একটানা এবং থেমে থেমে বর্ষণ। মাঝে মাত্র একদিন বিরতি থাকলেও এর মাঝেই চলে এসেছে আষাঢ়ে। আষাঢ়স্য প্রথম দিন মোটামুটি ছিল বৃষ্টিহীন। কিন্তু দ্বিতীয়দিন শুক্রবার সকালে ঝরে অঝোরে বর্ষণ। রাতেও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ছিল। মাঝারি এ বর্ষণে ফের ডুবে যায় বিভিন্ন সড়ক। বিশেষ করে নিচু এলাকার জনজীবন আবারও পড়ে সঙ্কটে। নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, ছোটপুল, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, তিনপুলের মাথা, শুলকবহরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানির নিচে চলে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করুণ অবস্থা আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার। সেখানে সড়কে জমে হাঁটু থেকে বুক পানি। মহেশখাল বাঁধ অপসারিত হওয়ায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলেনি। বিশেষ করে মাঝারি বর্ষণেই এ অবস্থা হলে বর্ষার ভারি বর্ষণে দুর্ভোগ কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকতে পারে তা নিয়ে শঙ্কিত ওই এলাকার মানুষ। আবহাওয়া দফতর জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ২৪ ঘণ্টার হলেও মূলত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার। কেননা, পুরোটা সময়জুড়ে বৃষ্টিপাত ছিল না। সাগরে কোন নি¤œচাপ কিংবা লঘুচাপ নেই। সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য কোন সতর্কতা সঙ্কেতও নেই। তবে মনসুন চলে আসায় ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। ইঞ্জিনবোট নিমজ্জিত, উদ্ধার ৩ প্রচ- ঢেউয়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরের নরমানস পয়েন্ট এলাকায় নিমজ্জিত হয়েছে একটি ইঞ্জিনচালিত বোট। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তলা ফেটে ডুবে যায় দুর্যোগের কবলে পড়া এই বোট। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ওই বোটের ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেন। কোস্টগার্ড সূত্রে জানানো হয়, যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেনÑ মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, (৩০), মোঃ শাহিন, (২৫) এবং মোঃ আবদুস সবুর, (২৮)। এ তিনজনের বাড়িই কক্সবাজার জেলায়। উদ্ধারের পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং বস্ত্র ও নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
×