ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরানোর ক্ষেত্রে বাধা সহ্য করা হবে না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৬ জুন ২০১৭

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরানোর ক্ষেত্রে বাধা সহ্য করা হবে না ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের রাজনৈতিক বাধা কিংবা স্থানীয় প্রভাব প্রতিপত্তি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ উচ্ছেদ অভিযান প্রকৃতপক্ষে উচ্ছেদ নয়, এটিকে দেখতে হবে উদ্ধার তৎপরতা হিসাবে। জীবন রক্ষায় এ কাজ যে কোনভাবেই করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পরিদর্শন করেন। তিনি দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনার প্রথম দায়িত্ব চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা। তবে রাতারাতি এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু উদ্যোগ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করলে পরিবর্তন আসবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিল বোর্ড উচ্ছেদে মেয়রের সফলতার প্রশংসা করেন। সেতুমন্ত্রী লালখান বাজার মতিঝর্না, বাটালিহিল এবং হালিশহর এলাকা পরিদর্শন করেন। লালখান বাজার এলাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী এবং প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। হালিশহর এলাকায় ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ আফসারুল আমীন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এদিকে সকাল থেকে চট্টগ্রামের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে থাকে। দিনে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিচু এলাকাগুলো থেকে পানি সরে যায়। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে তিনদিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, ছোটপুল, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার এলাকায় চলে যায় হাঁটু থেকে বুক পানির নিচে। থমকে যায় জনজীবন। সড়ক যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়লে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করেছে।
×