ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লঞ্চের টিকেট গেল কই? কাউন্টারই খোলা হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৬ জুন ২০১৭

লঞ্চের টিকেট গেল কই? কাউন্টারই খোলা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘোষণা দিয়ে টিকেট বিক্রির তারিখ জানানো হলেও কেউ লঞ্চের কেবিনের টিকেট কিনতে পারেননি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়ে হলো, টিকেট বিক্রির জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়ালেও কাউন্টারই খোলা হয়নি। জানানো হয়েছে, মোবাইলে সব টিকেট বিক্রি শেষ। যাত্রীদের প্রশ্ন এত টিকেট গেল কই? এদিকে চাহিদার বিপরীতে টিকেট কম থাকায় বেশিরভাগ ট্রেন যাত্রী খালি হাতে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২০ জুন থেকে বিআরটিসি অগ্রিম বাসের টিকেট বিক্রি শুরু করবে। আজ শেষ দিনে দেয়া হবে ২৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রির চতুর্থ দিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় দেখা গেছে কমলাপুর রেল স্টেশনজুড়ে। বেশিরভাগ যাত্রীর চাহিদা এসি টিকেট। না পেয়ে অভিযোগের শেষ ছিল না তাদের। কারণ অন্তত ১৬ ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট না পেলে কষ্ট লাগাটা সত্যিই স্বাভাবিক। মন খারাপ করে বাড়ি ফিরেছেন এসি চেয়ার ও বাথের যারা টিকেট কাটতে এসেছিলেন। তবে অনেকেই এসির বিকল্প হিসেবে শোভন চেয়ার কিনে নিয়েছেন। সাধারণ যাত্রীদের বেশিরভাগই টিকেট পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন। একাধিক ট্রেনের টিকেট দ্রুত শেষ হয়ে যাবার অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। ২৬ জুন ঈদ ধরে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তাই ২৪ তারিখের টিকেটের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। তাই সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় দেখা গেছে বিকেল পর্যন্ত। প্ল্যাটফরম ছাড়িয়ে লাইন এসেছিল মূল সড়ক পর্যন্ত। অনেকেই রাতভর অপেক্ষা করেছেন কাক্সিক্ষত টিকেট সংগ্রহে। যাত্রী বেশি হওয়ায় অনেককেই শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কেউ কেউ সোনার হরিণ টিকেট হাতে পেয়ে হেসেছেন প্রশান্তির হাসি। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় টিকেট বিক্রির ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার টিকেট বিক্রি শেষের আগের দিন দেখা গেল, ৩৫ নম্বর সিরিয়ালে গিয়েই বিক্রি হয়ে গেছে তিস্তা ট্রেনের সব টিকেট। কিন্তু বিশাল এ লাইনে ছিলেন অন্তত আরও ৫শ’ টিকেট প্রত্যাশী। শেষ দুটিকেট পেয়েছেন যি, তিচেয়েলেন চারটি টিকেট। কিন্তু দুটি এটিকেট পেয়েছেন। অন্য দুসাধারণ যে কোন আসনের হলেও নিতেন, কিন্তু আর নেই। তখন সময় সকাল সাড়ে ৮টা। ৮টায় বিক্রি শুরুর পর থেকে মাত্র এই আধ ঘণ্টায়ই শেষ তিস্তা ট্রেনের ৬০০ টিকেট! বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলস্টেশনের ২৩টি কাউন্টার থেকে ২৪ জুনের আগাম টিকেট বিক্রি হয়। এ দিন একটি নারী কাউন্টার কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নারীরা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দেয়া হয় ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট। আরও তিনটি স্পেশাল ট্রেনের টিকেট বিক্রও জয় একইসঙ্গে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার শীতাংশু চক্রবর্তী বলছেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনের টিকেটের চাপ সবচেয়ে বে। এ কারণে একই রুটে ‘দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল’ ট্রেনের টিকেট দেয়া হচ্ছে। তাই টিকেট না পেয়ে কেউ যাচ্ছেন না। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসও আছে এ রুটে। এক ট্রেনের টিকেট শেষ হলেও তাই একই রুটের অন্য ট্রেনে বাড়ি ফিরতে টিকেট কাটছেন অনেকে। ৩৫ নম্বর সিলে তিস্তার টিকেট কেন শেষ হলো জানতে চাইলে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, এটি একসি। কিন্তু নারী ও ওয়ারেন্টের আরও দুসিআছে। সেগুলো থেকেও একযোগে তিস্তার টিকেট কাটা হচ্ছে। আর সব ট্রেনেরই ২৫ শতাংশ টিকেট অনলাইনে ছেড়ে দেয়া আছে। স্টেশনের কাউন্টারগুলোর সামনে দাঁড়িয়েও দেখা গেছে, বিক্র শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে একটি ট্রেনের টিকেট। তবে একই রুটের অন্য ট্রেনের দুই এক স্টেশন আগে-পরের টিকেট মিলছে। বাড়ি ফিরতে শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত টিকেট না পেলেও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না কেউ। জামালপুরে যেতে তিস্তার টিকেট চেয়েওলে অগ্নিবীণা ট্রেনের টিকেট কেটেছেন একজন। এ ট্রেনে তাকে দুই স্টেশন আগে নেমে যেতে হবে বলেও জানান ওই যাত্রী। কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনের টিকেট কিনতে সিলের প্রথম ছিলেন আও আরেকজন। তারা দু’জনে মিলে চেয়েলেন কেনের ৮টি সিট। কিন্তু কেনের ৬ সিট পাওয়ায় বাদুটি টিকেট সাধারণ আসনের নিতে হয়েছে। সব মিয়ে অ্রম ২৪ জুনের টিকেট সংখ্যা ২৪ হাজার ৬০৮টি। এর ৬৫ শতাংশ কাউন্টার থেকে বিক্র হচ্ছে। বা৩৫ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ মোবাইল ও অনলাইনে এবং ৫ শতাংশ ভিআও ৫ শতাংশ রেল কমকর্তাকর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করে বিক্র হচ্ছে। এর বাইরে মেইল-লোকাল ও স্ট্যান্ডিং টিকেট মিয়ে দিনে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী কমলাপুর থেকে এবার বিœ গন্তব্যে যাবেন। এদিকে পাঁচদিন ব্যাপী অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার। দিনভর দেয়া হবে ২৫ জুনের ট্রেনের টিকেট। লঞ্চের টিকেট নেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা নৌ পথে ঘরে ফিরতে লঞ্চের অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। শুধু ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ প্রতি ঈদে নদী পথে বাড়ি যান। তাই অনেকের একমাত্র ভরসা লঞ্চের টিকেট। সকাল থেকে টিকেট সংগ্রহে সদরঘাট নদী বন্দরে সকাল থেকে কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় জমে। কিছুক্ষণ পর কাউন্টার থেকে জানানো হয় সব টিকেট নাকি দুদিন আগেই শেষ। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বুকিং দিয়ে সব টিকেট আগেই বিক্রি করা হয়েছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার খোলা নেই একটি কাউন্টারও। সদরঘাটে গিয়ে এই চিত্রই পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ বাড়তি ভাড়া নিতে টিকেট কালোবাজারি করা হয়েছে। অন্যথায় সাধারণ যাত্রীরা একটি টিকেটও পাবেন না তা হতে পারে না। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিভিন্ন লঞ্চের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরুর কথা। তবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে যাত্রীরা লঞ্চের অগ্রিম টিকেট কিনতে আসেন। কিন্তু হতাশ হয়ে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। তারা এসে দেখেন কোন কাউন্টারই খোলা নেই। তবুও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর টার্মিনালে অবস্থানকারী বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বুকিং দিয়ে দুদিন আগেই সব টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। মেসার্স এ রহমান শিপিং লাইনের কাউন্টার ম্যানেজার হারুনুর রশিদ ও মোঃ মহসিন জানান, তাদের লঞ্চে ২৫টি ডাবল এবং ১১টি সিঙ্গেল কেবিনসহ মোট ৬১টি কেবিন রয়েছে। তাদের সবকটি টিকেট গত ১২ জুনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে টিকেট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই টিকেট বুকিং দিয়েছেন। মেসার্স জমজম ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট, শাহরুক এন্টারপ্রাইজ, তুহিন রাব্বি শিপিং কর্পোরেশনসহ সব কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। অগ্রিম টিকেট কিনতে আসা কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক মদদে বিভিন্ন লোকজন ঈদের অনেক আগেই টিকেট কিনে নিয়েছে। ঈদের কয়েকদিন আগে দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ দামে এগুলো সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টিকেট কেন আগেই বিক্রি করে ফেলছে সেটা মালিকরাই বলতে পারবেন। তাদের কাছে ব্যাখ্যা চান। আমরা কি করতে পারি! আমাদের কাছে এর কোন ব্যাখ্যা নেই। আমাদের করারও কিছু নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা। ২০ জুন থেকে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকেট আগামী ২০ জুন থেকে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ২৩ জুন থেকে শুরু হবে বিআরটিসির ঈদ সার্ভিস। বিআরটিসির কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, রাজধানীর কমলাপুর, গুলিস্তান, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুরসহ চারটি টার্মিনাল থেকে একযোগে টিকেট বিক্রি শুরু হবে। সব মিলিয়ে ৯০০ বাস ঈদে দূরপাল্লার যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ছুটিও বাতিল করেছে বিআরটিসি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে বাস বুকিং দিতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে বাস সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তিনি জানান, বন্ধ বা নষ্ট হয়ে থাকা বাসগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এসব বাস ঈদে যাত্রী সেবায় কাজে লাগানো হবে। বাড়তি ভাড়ায় মিলছে বাসের টিকেট প্রথম দিনেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বাসের বেশিরভাগ টিকেট শেষ। তবুও মানুষের চেষ্টা থেমে নেই। সবাই যার যার মতো করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে টিকেট নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবহন মালিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ রুটের বাসের টিকেট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবারও এমন অভিযোগ মিলেছে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির বিরুদ্ধে। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন, এসি টিকেটের চাহিদা বেশি থাকায় এসব টিকেট আগে ভাগেই শেষ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ৯০ ভাগের বেশি টিকেট শেষ। এখন যা আছে ২৪ তারিখ রাত ও ২৫ তারিখের। তাও নন এসি। বাস কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ছাড়া ২০ থেকে ২৪ জুন রাত পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট শেষ হয়ে গেছে। তবে ২৫ ও ২৬ জুনের সকাল ও দুপুরের কিছু টিকেট এখনও অবিক্রীত রয়েছে। এদিকে বাস মালিকপক্ষ বলছে, রাস্তার অবস্থা ভাল থাকলে ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ২৫ তারিখ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশকিছু নতুন বাস সার্ভিস দেবেন তারা। এতে করে যেসব যাত্রী টিকেট পাননি, শেষ সময়ে তারা স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারবেন। রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি দামে অগ্রিম টিকেট কিনতে হচ্ছে। টিকেটের দাম কাউন্টার ও এলাকা ভেদে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। গাবতলীর হানিফ কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করেন আনিস রহমান। তিনি বলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাওয়ার জন্য ২২ ও ২৩ জুনের টিকেট খুঁজলাম। না পাওয়ায় ২১ তারিখ সকালের টিকেট নিলাম। সব সময় ৫৫০ টাকা টিকেট নিলেও এখন কিনতে হয়েছে ৬৫০ টাকা দিয়ে। হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কথা হয় রাফসান আহমেদের সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। যশোরের টিকেট কিনেছেন তিনি। রাফসান বলেন, অনেক কষ্ট করে টিকেট পেয়েছি। তবে দাম অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি নিচ্ছে। টিকেট পেয়েছি, এতেই খুশি। গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সামনে কথা হয় ফরিদপুরের টিকেট নেয়া সাফাত আদনানের সঙ্গে। তিনি বলেন, টিকেটের মূল্য অন্য সময়ে ৩৫০ টাকা রাখা হতো। কিন্তু প্রতি বছর ঈদের সময় বাড়তি দাম রাখা হয়। ৪৭০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়েছে। ঠাকুরগাঁও যাবেন আসলাম রহমান। তিনি জানান, টিকেটের দাম জনপ্রতি ৬০০ টাকা সেখানে আজ তাকে কিনতে হয়েছে ৮২০ টাকায়। টিকেটের বাড়তি দাম নেয়া অস্বীকার করে হানিফের মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে এক টাকাও বেশি রাখার সুযোগ নেই। অন্য সময়ে কিছু রুটের ভাড়া নির্ধারিত তালিকার চেয়ে কম রাখা হয়। ঈদের সময় একদিকে যাত্রী চলাচল করায় নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।
×