ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৬ জুন ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের উদ্যোগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর খুনী পলাতক দ-প্রাপ্ত খুনীদের স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আইনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উভয় দেশের ল’ ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুনীদের ছবি সংবলিত তথ্য প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, জাতির পিতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ- কার্যকর করার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্স দ-প্রাপ্ত খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে একাধিক সভায় মিলিত হয়েছে। আট বছরে ৬৪৯ পুলিশ নিহত ২০০৯ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গত ৮ বছরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ৩ হাজার ৯৬৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং ৬৪৯ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে দায়িত্বরত অবস্থায় ৩ জন বিজিবি সদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতার সময়ই সবচেয়ে বেশি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে পুলিশ সদস্য আহত হন ১২৫ জন ও নিহত হন ২৮ জন। ২০১০ সালে ১৭৬ জন আহত ও ৪০ জন নিহত হন। ২০১১ সালে ১৯০ জন আহত ও ৫১ জন নিহত হন। ২০১২ সালে ২০৫ জন আহত ও ৩৮ জন নিহত হন। ২০১৩ সালে ২ হাজার ২১০ জন আহত ও ১০৯ জন নিহত হন। ২০১৪ সালে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হন। ২০১৫ সালে ৩৭২ জন আহত ও ১২৬ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে ২৫৯ জন আহত ও ১২৮ জন নিহত হন। ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত ১৫০ জন আহত এবং ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
×