ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদকে সামনে রেখে পাবনার তাঁতিপল্লী সরগরম

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৬ জুন ২০১৭

ঈদকে সামনে রেখে পাবনার তাঁতিপল্লী সরগরম

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৪ জুন ॥ ‘কন্যা কইরো নাকো মন ভারী; পাবনা থিইক্যা আইনা দিমু ট্যাহা দামের মটুরি’ এক সময়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাবনার শাড়ির সুনাম নিয়ে কবিতা লিখেছেন। পাবনার তাঁতের শাড়ির সুনাম ছিল দেশ ছাড়িয়ে গোটা উপমহাদেশে। অভিমানী বউয়ের মান ভাঙাতে পাবনার শাড়ি উপহার দেয়ার কাব্যিক কথাও প্রচলিত। ঈদ, পূজা ও অন্যান্য পার্বণে পাবনার শাড়ির জুড়ি মেলা ভার। পাবনার সেই সুনাম ঘিরে ঈদ সামনে রেখে তাঁতি সম্প্রদায় দিনরাত কাজ করছে। ঈদকে সামনে রেখে কারিগরপাড়া এখন মুখরিত। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার পাইকার ও কাপড় ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদার শাড়ি ও লুঙ্গির অর্ডার নিয়ে এসেছে। কেউবা অগ্রিম দিয়ে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পছন্দের ডিজাইনের শাড়ি-লুঙ্গি চাই। ইতোমধ্যে বিখ্যাত কাপড়ের আতাইকুলা হাটসহ শহরের বিপণিবিতানে বাহারি ও নানা রঙের তাঁতের শাড়ি ক্রেতাদের মুগ্ধ করেছে। গতবারের চেয়ে দাম বেশি হলেও ক্রেতারা দামের ধার ধারছে না। এদিকে দেশে তৈরি এসব উন্নতমানের শাড়ি এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। বিদেশের বাজারে ‘পাবনাই’ তাঁতের শাড়ির বেশ কদর। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব শাড়ি এখন আমেরিকা, কানাডা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রফতানি হচ্ছে। ঢাকার বুটিক হাউস কে ক্রাফট তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে কানাডা ও আমেরিকা এবং নাগরদোলা ইংল্যান্ডে পাবনার শাড়ি রফতানি করছে বলে তাঁত মালিকরা জানিয়েছেন। ভারতের দিল্লী, বারাসাত, হুগলি, কলকাতা, শুভরাজ, গঙ্গা, রামপুর, পাটনাসহ অনেক বড় শহরে পাবনাই শাড়ির ব্যাপক চাহিদা ও মার্কেট রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সপ্তাহের শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার বিখ্যাত আতাইকুলা হাট জমে উঠছে। বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতারা এসে বাস ও ট্রাক ভরে শাড়ি-কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। জামদানি, সুতি জামদানি, সুতি কাতান, চোষা, বেনারসি, শেঠ নামে শাড়ি তৈরি হচ্ছে তাঁত পল্লীতে। এ ছাড়া বিভিন্ন নবাবী নামের লুঙ্গিও তৈরি করছে তাঁতিরা। শাড়ি- লুঙ্গির পাশাপাশি তাঁতের তৈরি থ্রি-পিচের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নারীরা সুতা কাটছেন। কেউ সানা বাঁধছেন, কেউ সুতা রং করছেন। কেউবা শুকাচ্ছেন। এ ছাড়া তৈরি শাড়ির ওপর নান্দনিক শিল্পকর্ম, ব্লক, বর্ণিল সুতা, ও চুমকির কাজও করা হচ্ছে। কারও ফুরসত নেই। এবারের ঈদ মৌসুমে তারা কমপক্ষে এক শ’ কোটি টাকার শাড়ি ও লুঙ্গি বিক্রির টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমে দিনরাত কাজ করছে। গোপালগঞ্জের রোকেয়া তিন মাস ধরে নিখোঁজ নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৫ জুন ॥ তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা। তিনি সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের মৃত নজরুল বিশ্বাসের স্ত্রী। তার গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি, মাথার চুলে পাক ধরেছে, মুখের ওপরের পাটিতে দাঁত নেই, পরনে ছিল শাড়ি। বুধবার সকালে তার মেয়ে চুমকি বেগম এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তিন মাস আগে রোকেয়া বেগম কোথাও চলে যায়। এরপর বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
×