ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন

চীনে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৬ জুন ২০১৭

চীনে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে

নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে এক অভিজাত এ্যাপার্টমেন্টে বাস করেন চীনা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী গুয়ো ওয়েনগুই। তিনি সেখানে থেকে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত নিজ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি চীনের রাজনীতিতে তোলপাড় বাধিয়ে দিয়েছেন। এএফপি। চীনের নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ওয়েবসাইটে গুয়োর বক্তব্য ও ভিডিও প্রদর্শিত হয়। যা দেখে কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ বছরের শেষের দিকে তারা তাদের দ্বিতীয় কংগ্রেস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সর্ববৃহৎ বৈঠকে দলটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেবেন। তবে গুয়ো মৌখিক বক্তব্য সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিত পরিকল্পনার মূলে হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। যাকে রাজনৈতিক মন্তব্যকারী লিয়াং জিং চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ২০১৭ সালের সবচেয়ে বড় অপ্রত্যাশিত ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেজিংভিত্তিক ট্রিভিয়াম চায়না গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ট্রি ম্যাকআরভার বলেন, এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় যে গুয়ো দলের প্রতি ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন চীনা জনগণের প্রতি কিভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলেন। এটি যথেষ্ট নয় যে তিনি কি করলেন বরং তিনি কি করতে পারলেন তাই বিবেচ্য। গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ এক কোম্পানির কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন গুয়োর সঙ্গে জড়িত থাকায়। যুক্তরাষ্ট্রেও গুয়ো আইনী সমস্যায় পড়েছেন। সেখানকার এক আইনজীবী গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছেন, তার বিরুদ্ধে নয় ঋণদাতা পাঁচ কোটি ডলার দাবি করে মামলা করেছেন। গুয়োই একমাত্র ব্যক্তি নয় যাকে বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের অভিযোগে মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বুধবার এ্যানবাং ইন্স্যুরেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান উ শিয়াও হুইকে এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৬টি জঙ্গীবিমান কিনছে কাতার এফ-১৫ জঙ্গী বিমান কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক হাজার ২০০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে বলে জানিয়েছে কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারস্য উপসাগরীয় এই দেশটির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন, তা সত্ত্বেও বুধবার চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। চুক্তিটি সই করতে বুধবার কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের বসার কথা ছিল বলে চুক্তির বিষয়ে অবগত এক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে। ৩৬টি জঙ্গীবিমান কিনতে চুক্তিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ। বুধবার এক ইমেইল বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, এই চুক্তির ফলে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও যৌথ সামরিক অভিযানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ম্যাটিস ও কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ আল আত্তিয়াহ আইএসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে এবং উপসাগরীয় মিত্রদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও পেন্টাগনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
×