ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোগাদিসুতে আল শাবাবের হামলায় নিহত ১৯

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৬ জুন ২০১৭

মোগাদিসুতে আল শাবাবের হামলায় নিহত ১৯

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি ব্যস্ত হোটেল ও সংলগ্ন একটি রেস্তরাঁয় জঙ্গীদের আত্মঘাতী গাড়িবোমা ও বন্দুক হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা আব্দি বশির বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার রাতে এক আত্মঘাতী হামলাকারী দক্ষিণ মোগাদিসুর পশ হোটেলের প্রবেশ পথে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পরপরই একদল বন্দুকধারী জঙ্গী হোটেল সংলগ্ন পিজা হাউজ রেস্তরাঁয় হামলা চালিয়ে ২০ জনকে জিম্মি করে। বিবিসি। মোগাদিসুর একমাত্র ডিস্কোথেকটি পশ হোটেলে অবস্থিত। পিজা হাউজে কয়েক ঘণ্টা জিম্মিদের আটকে রাখার পর মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালায় সোমালি নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে পাঁচ বন্দুকধারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বশির। ‘আমরা হোটেলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি, কিন্তু আত্মঘাতী বোমার আঘাতে হোটেলটির অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে,’ ফোনে বলেছেন তিনি। এর আগে পুলিশের মেজর ইব্রাহিম হুসেইন পিজা হাউজটির সামনে একটি গাড়িবোমা পার্ক করা আছে এবং ভিতরে স্নাইপাররা অবস্থান নিয়ে থাকায় অভিযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি লাশ পড়েছিল, এ্যাম্বুলেন্স এসে লাশগুলো সরিয়ে নেয়। পুলিশ জানিয়েছিল, পশ হোটেলে চালানো আত্মঘাতী হামলায় যারা নিহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই নারী এবং তারা হোটেলটির কর্মচারী। জঙ্গীগোষ্ঠী আল শাবাব হামলায় দায় স্বীকার করেছে। করবিনের সেøাগান নকল করলেন টেরেসা মে! ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখন কনজারভেটিভ দলনেত্রী টেরেসা থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিইউপির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে কড়া ভাষায় দরকষাকষির লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচন করলেও এখন তাকে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভায় বেশ নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে টেরেসা মের কথাবার্তা ও আচরণে আগের রুক্ষ ভাবের চেয়ে বেশ নমনীয় ভঙ্গি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। ইদানীং লক্ষ্য করা গেছে যে, তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার দলনেতা জেরেমি করবিনের কিছু জনপ্রিয় সেøাগান হুবহু আউড়ে যাচ্ছেন। যেমন, নির্বাচনের পর মঙ্গলবারে পার্লামেন্টারি বৈঠকে প্রথম দিনে ব্রিটেনের সম্পদ ও সুযোগ সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলতে গিয়ে করবিনের বহুল উচ্চারিত সেøাগানটি আউড়ে গেলেনÑ‘কেউ এবং কোন কম্যুনিটি বাদ যাবে না।’ এটি ছিল করবিনের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান অংশ। এখনও নির্বাচনের ভিডিওচিত্রে এই সেøাগান এবং ডিজিটাল ডেমোক্র্যাসি মেনিফেস্টো দৃষ্টিগোচর হবে। এ প্রসঙ্গে লেবার পার্টি সূত্রে বলা হয়েছে, টেরেসা মে জেরেমি করবিনের জনপ্রিয় সেøাগান অনুকরণের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিজের বাগাড়ম্বর গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কেউ তাকে বিশ্বাস করবে না। কেননা, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনেই তিনি স্কুল, হাসপাতাল, পুলিশ সদস্য নিয়োগে ছাঁটাই ও সামাজিক সেবা সংস্থা থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারসহ অন্যান্য সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেছেন। -ইন্ডিপেন্ডেন্ট
×