ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উপসাগরীয় সঙ্কট

কাতারের আমিরের সঙ্গে তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৬ জুন ২০১৭

কাতারের আমিরের সঙ্গে তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

উপসাগরীয় সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে এবং এ অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ে জাতিসংঘের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষিতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারের আমিরের সঙ্গে গত বুধবার এক বৈঠকে মিলিত হন। এএফপি। কাতারের আমির শেখ আমিন বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে রাজধানী দোহায় এক বৈঠক শেষে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুত কাবুসগ্্লু এই সঙ্কট অবসানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান। দুই নেতার এই বৈঠকে উপসাগরীয় সঙ্কট এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়সহ তুরস্ক ও কাতারের মধ্যে সকল ক্ষেত্রে কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা ও এর উন্নয়নের সম্ভাব্য পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সকল ক্ষেত্রে কথাটির মধ্যে কাতারে তুরস্কের যে সামরিক ঘাঁটি আছে তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা যায়। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাবুসগলু বৃহস্পতিবার উদ্ভূত সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য কুয়েত যাবেন। এর পর তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশে রিয়াদ সফর করবেন। আঙ্কারা কাতারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে এ সপ্তাহের শুরুতে এ দেশের ঘাঁটিতে আরও তুর্কী সৈন্য মোতায়েনের কথা ঘোষণা দেয়। তুর্কী প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, একটি বড় দেশ এবং এ অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরব এই সঙ্কট সমাধানে বিজ্ঞচিত ভূমিকা পালনের যোগ্যতা রাখে। মূলত সৌদি আরবের উদ্যোগে উপসাগরীয় অন্যান্য দেশ ইসলামী চরমপন্থীদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগে কাতারের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এছাড়াও সৌদি আরবের বৈরী দেশ শিয়া অধ্যুষিত ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতার দরুন দেশটির ওপর এত দ্রুত অবরোধ কার্যকর করা হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও অন্যান্য দেশ কাতারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের পর তার সবুজ সংকেত পেয়েই সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ কাতারের বিরুদ্ধে যুগপৎ অবরোধ আরোপ করে। অথচ কাতারের মাটিতে দশ হাজার মার্কিন সৈন্যের ঘাঁটি এখনও বহাল আছে। কাতার যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিমুখী আচরণের হিসাব মেলাতে পারেনি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের বিভিন্ন বন্দর, স্থান ও আকাশপথ বন্ধ করে দেয়ায় কাতার এয়ারওয়েজসহ দেশটির ব্যবসা- বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়ে এবং সৌদি আরব থেকে খাদ্যের চালান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শীঘ্রই দেশটিতে তীব্র খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দেয়। উপসাগরীয় এই সঙ্কট নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো বুধবার মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছার লক্ষ্যে উপসাগরীয় দেশের প্রতি আহ্বান জানান। কাতার বর্তমান খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলার লক্ষ্যে ইরান, তুরস্ক ও মরক্কো থেকে খাদ্যসামগ্রীর চালান গ্রহণ করছে।
×