ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে শিশু আব্দুল্লাহ হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১৫ জুন ২০১৭

কেরানীগঞ্জে শিশু আব্দুল্লাহ হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ঢাকার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে বহুল আলোচিত শিশু আবদুল্লাহ (১১) হত্যা মামলায় এক আসামির মুত্যুদ- এবং অপর ৩ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি মোঃ খোরশেদ আলম পলাতক রয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তিনি পলাতক হন। অপর ৩ আসামির মধ্যে মেহেদী হাসান শামীমকে শিশু আইনে হত্যার অভিযোগে ১০ বছর কারাদ- এবং আসামি মিতু আক্তারকে আলামত গোপনের অভিযোগে ১ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। আসামি নাছিমা আক্তারকেও একই অভিযোগে আগে সাড়ে ৩ মাস কারাভোগ করার সময়কে দ-গণ্য খালাস দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে নাছিমা ও মিতু জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর মিতুকে হাইকোর্টে আপীলের শর্তে জামিন প্রদান করেন বিচারক এবং মেহেদী কারাগারে রয়েছেন। মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। দ-িত মেহেদী হাসান তার ছেলে, মিতু মেয়ে এবং নাছিমা স্ত্রী। রায় ঘোষণার পর আদালতের করিডরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রিনা বেগম। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানান তার বোন মমতাজ বেগম। তবে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মাহবুবুর রহমান। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়। আসামি মেহেদী হাসান তাকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় এবং আসামি মোতাহার এবং খোরশেদ মুখ চেপে এবং শ^াসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা। ওই বছরই ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। এর পর ৫ মার্চ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম চার্জশীট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ৩০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে।
×